দ্যাখ রে, অবুজ নিন্দুক
আমার এখানে এসে দ্যাখ
পা দুটিকে কেমন করে শিকড় বানিয়েছি
এবং ছড়িয়ে দিয়েছি সারা আকাশ জুড়ে
এক দেশের হয়েও
কেমন করে হয়েছি বিশ্ব নাগরিক
আর এই গাছ হওয়াটি কখন কখন একঘেয়েমি লাগলে
নিমেষে মাছ হয়ে টম টম বসে থাকি
পাহাড়ের শৃঙ্গে
আর দেখতে থাকি কি ভাবে সাগর
পলি জমে হারাচ্ছে তার লবণ স্বাদ
আর মর্ম গভীরতার
কোন কোন উচ্চতা কি ভাবে তার গর্বের কারনে
কিংবা নোংরামিতে জরিয়ে নিজের মহত্য খুইয়ে
পিপীলিকার কাছে হার মানছে ।
হায় নিন্দুক, অবুঝ বন্ধু
তোমাদের কাছে এসব অযৌক্তিক হতে পারে
কিন্তু আমাদের এখানে আমি যে ঘরে থাকি
তার দেওয়াল বা ছাদ রাখিনি
আঙ্গুলের ডগায় আমি আকাশটিকে তুলে ধরে থাকি
ঝড় কিংবা বৃষ্টি এলে আর আমার মন চাইলেই
আমি আমার ভাব দিয়ে
আটকে দিতে পারি কিংবা ঘুরিয়ে দিতে পারি গতি পথ
আর যুক্তি যদি বাধা হয়ে দাড়ায়,
আল হয়ে অথবা হয়ে বাঁধ
তাকে কল্পনার পা দিয়ে টুক করে ডিঙ্গিয়ে যাই
তোমাদের কাছে এসব সমস্যা
কারন তোমরা মাত্রা দ্বারা সীমাবদ্ধ, কল্পনা প্রতিবন্ধী
আমাদের চিন্তাধারা সীমাহীন
আমরা এখানে তৃষ্ণার্ত জলের তৃষ্ণা আগুন দিয়ে মেটাই
রুটির ক্ষুধা তৃপ্তি দিয়ে নিবারণ করি
এখানে অনেক কিছুই হয়
অবুঝ বন্ধু, প্রতিবন্ধী নিন্দুক
তোমাদের এসব বুঝতে সমস্যা
কিন্তু আমাদের কাছে সমস্যা কোন সমস্যা নয়
এখানে সমাধানের চাষ অপচয় মাত্র
এসব শুনে তোমার রাগ হতে পারে, হিংসা হতে পারে
শিশুদের মতো আনতে পারো না না রকম অভিযোগ
আমাকে বলতে পারো শব্দের যাদুকর
রং বাজ, রক বাজ
ভেল্কিবাজ, মিথ্যা স্বপ্নের বেইমান ফেরিওয়ালা
কিন্তু বন্ধু, আসলে ওসব কিছুনেই
এখানে নেই কোন হিংসা কিংবা বিদ্বেষ
এক জনের প্রশংসা করলে অন্যজন ছোট হয়না, রেগেও যায় না
আর আমরা এই তিনটিকে বানিয়েছি
যথাক্রমে শৃগাল আর কুকুর
আর তৃতীয়টি নিজ ইচ্ছায় হয়েছে ইঁদুর
আসলে তারা তিনজন নয়, একজন
এক দেহে তিনটি বদগুণ
অন্যকথায় তিন বদগুণ বিশিষ্ট একটি গৃহ পালিত পশু
ভাবছ, কি অবাক কাণ্ড! কি অবাক কাণ্ড!
বন্ধু, আবাক হওয়ার কিছু নেই
এখানে জাদুও নেই, যুক্তিও নেই
তাই অ- যৌক্তিক হওয়ার প্রশ্নও নেই
আছে শুধু নান্দনিক আনন্দ
শুনলে তোমরা আনন্দ পাবে
বিশুদ্ধ সাহিত্য রস পাবে
আমরা এখানে তিন আত্মা এক দেহে...।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem