দেখেছি নিহত
কবিতার পাশে
শুয়ে আছে অনিবার্য নীল
সূর্যের সকাল শুয়ে আছে
ঘুমন্ত কবির
গোধূলি কঙ্কাল
বুভুক্ষার অন্ধকার দূর গ্রহের অন্তর হতে
নেমে এলে হৃদয়ের বিশীর্ণ হাতের
কলমে ঝরেছে
রক্ত বহুবার
বেলাশেষে শঙ্খডাকে দুঃখী প্রদীপের
আলো ভেসে ভেসে
দিগন্তে মিলায়
কবির নির্মিত মন্ত্র-শ্লোক
হলুদ চিতার আগুনে নিক্ষিপ্ত হয়
দূর বহুদূর হতে
ব্যর্থতার বিসর্জন অন্তিম মুহূর্তে
হিম হয়ে এলে
নির্জন রাত্রির দেহ পুড়ে অমর্ত্যের জন্ম হয়
নীল আধো চাঁদ
পৃথিবীর বুকে মফঃস্বল বাতাসের
পাথুরে নদীতে
হিল্লোল নরম ঘাসবনে বয়ে যায়
ক্ষণ লহমায় রক্তমৃত্যু কিছু উদভ্রান্ত স্মৃতি
না ফেরার দেশ ছুঁয়ে আসে
গ্রামীন জীবন উচ্ছিষ্ট নিদ্রার দিকে ক্রমশ এগিয়ে যায়
অভাগীর স্বর্গ ছেয়েছে নিঝুম গ্রাম
বিষাদের করতলে রাখা আছে কিছু বুড়িগঙ্গার প্রাচীন
অশ্বথ জলের সন্ধ্যাছায়া
পাংশু চোখে তীব্র তৃষ্ণা অশরীরী কবিতার দিকে উড়ে যায়
ভাস্কর্যের মৃত্যু হয় মুক্ত শব্দব্রহ্মের অভাবে
ভাঙাচোরা অন্ধকার শব্দ
মলিন গ্লানির
ভেতরে এখনো প্রতিশ্রুতির অধিক স্বপ্ন দেখে অভিজাত জ্যোৎস্না রাতে
গ্রামের জোড়ের শীর্ণ শ্মশানের দেহে
যারা স্নান সেরে
ফিরেছে পুরানো
মাটির বিস্মৃত পথ ধরে
তাদের বিবেকে
নিজেকে গেঁথেছে
মানুষকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে
তারপর পাখি ডাকা ভোরে
নাড়ির বাঁধন মনে রেখে
আবার জীবন খুঁ'জে কবির দুহাত
মেঘার্ত রাত্রিতে
হাত হতে ঝরে শব্দঝর্ণা
তারপর একদিন কুমারী কবিতা বড় হলে উড়ে যায়
অরণ্য আকাশে
সেদিন কবির ঘুমন্ত চোখের অন্তরে সমূহ
গেঁয়োনদী খেলা করে একাকী আপন মনে দগ্ধ
হাত নিজ ম্লান বুকে রেখে
বিষাদের করতলে রাখা আছে কিছু বুড়িগঙ্গার প্রাচীন
অশ্বথ জলের সন্ধ্যাছায়া
রাখা আছে তীক্ষ্ণ শব্দব্রহ্মের অভাবে
অশরীরী কবিতার ভাস্কর্যের অনূজ্জ্বল চোখ
গোধূলি কবির
ঘুমন্ত কঙ্কাল ভেসে যায়
প্রবাসী নদীর
প্রাচীন কিনারে
সে শব্দের খোঁজে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem