শ্বাসে নিলে শান্তি
প্রশ্বাসে পাবে প্রশান্তি।
শ্বাসে নিলে বিষ
তুমি জ্বলবে অহর্নিশ।
শান্তির আরাধনা করতে গিয়ে তুমি অশান্তির নদীতে ডুবে কেন হে মানুষ, তুমি অশান্তির নদীতে ডুবে কেন? মনের মধ্যে শান্তির চিন্তা করলে, হৃদয়ে তুমি শান্তি পাবে। মনের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ ঘৃণা পোষণ করলে, তুমি সেই- হিংসা বিদ্বেষ ঘৃণার আগুনে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে মরবে। এ সত্য অঙ্কের মতো সোজা, তাই না? তবে এতো হিংসা বিদ্বেষ আর ঘৃণার মধ্যে নিমজ্জিত কেন তোমরা?
হিংসা বিদ্বেষ ঘৃণার মধ্যে নিমজ্জিত থাকলে, তুমি অসুস্থ বোধ করবে। সেই অসুস্থতা হেতু, তুমি তোমার সন্তান বা মা বাবার সাথে শান্তিতে একটু কথা বলতে পারবে না। ফল? তোমার পরিবারের মধ্যে অশান্তি। তুমি বা তোমার পরিবার যদি অশান্তিতে থাকো, তুমি কি তোমার বন্ধু বা আত্মীয়ের সাথে শান্তিতে কথা বলতে পারবে? না। তো ফল? সমগ্র রাজ্য বা দেশ তখন অশান্তিতে ভুগবে।
তুমি অশান্তিতে থাকলে, তুমি কোন গঠনমূলক কাজে মনোনিবেশ করতে পারবে না। তুমি কোন উন্নত সাধনামূলক কাজে মনোনিবেশ করতে পারবে না। ফল? তোমার আত্মা ও চরিত্রের বিকাশ কখনো ঘটবে না। তোমার মতো ১৩০ কোটি মানুষ দিয়ে এই দেশ তৈরী। কাজেই তোমার যদি বিকাশ না ঘটে, তো দেশেরও কোন বিকাশ ঘটবে না। দেশের বিকাশ না ঘটলে; তোমার উন্নতির জন্য, দেশ কি তোমাকে ভালো কোন পরিকাঠামো দিতে পারবে?
তোমার হৃদয়ের শান্তি কিভাবে, তোমার নিজ বিকাশের সাথে জড়িয়ে, তা এখন বুঝলে? এজন্যই বলছি, হিংসা বিদ্বেষ ঘৃণা থেকে দূরে থাকো। অন্যকে সমালোচনা করা থেকে দূরে থাকো। নিজেকে বিকাশ করতে, শান্তিমূলক গঠনমূলক উন্নত চিন্তা করো। বিজ্ঞানে আর দর্শনের রহস্য ঢাকা রোমাঞ্চকর চিন্তা ভাবনা করো। দেখবে, তুমি নিজে অনেক আনন্দ পাবে। আর তোমার জ্ঞান আর চরিত্রের মানও অনেক বিকশিত হবে।
শান্তির গঠনমূলক চিন্তা করলে, তুমি হিংসা বিদ্বেষ মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগে ভুগবে না। যে নিজের বাগানকে সুন্দর করতে ব্যস্ত, তার কি, অন্যের বাগান দেখে, অন্যকে গালি করার ফুরসৎ আছে? না।
ছোট্ট এই নিয়ম মানলেই, তোমার জীবন মুহূর্তে বদলে যাবে। জাতির ভবিষ্যৎ মুহূর্তে বদলে যাবে। হিংসা বিদ্বেষ ঘৃণা থেকে দূরে থাকো। আর যারা হিংসা বিদ্বেষ ঘৃণা ছড়ায়, তাদের থেকে দূরে থাকো। ওঁম শান্তি। ওঁম শান্তি।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem