কতোবার ভেবেছি, এইসব ছেড়েছুঁড়ে খুব নিরিবিলি একটা পাহাড়চূড়ায় চলে যাবো। ডাল-লতা-পাতায় বানাবো ঘর। হাওয়াদের সাথে আড্ডা জমাবো। খুব ভোরে উঠে ঘুমোতে যাবার আগে পর্যন্ত কথা বলবো পাহাড়ি ফুলেদের সাথে। অনেক নিচে থেকে বয়ে তুলবো জল। ওদেরও তো সেবা-আর্তির প্রয়োজন আছে! পাখিদের পিছুপিছু চলে যাবো জংলি সব ফলেদের দিকে। এইসব শাদামাটা আকাঙ্ক্ষা আমার। কিন্তু, একটা প্রলোভন আমাকে যেতে দেয়নি। ছোট্ট একটা ভয়, একটা মায়া, বারবার পেছন থেকে টেনে ধরেছে আমার ধূসরবর্ণ জামা। কী জানি, যদি সত্যি সত্যি ফিরে আসো! যদি না পাও আমাকে! কত্তো উচ্চতায় থাকো তুমি। তারও চে' অধিকতর উচ্চতা দিয়ে উড়তে উড়তে, এই সমতলে নেমে, যদি পাহাড়ে উঠতে মন আর না চায় তোমার! সমতলে ফেলে যাওয়া, আমার সর্বশেষ কবিতাটির খসড়া কুড়িয়ে নিয়ে, সত্যি যদি ফিরে যাও তুমি! সেই ভয়ে, পাহাড়ে যাওয়া হলো না আমার। কবিতা ছাড়তে ছাড়তেও আর ছেড়ে দেয়া গেল না। ছোট্ট একটা লোভ, অবিরাম আমাকে টেনে নিচ্ছে বিষভাণ্ডের দিকে। আর প্রতিটি রাত্রির শব্দসঙ্গমে আমি বুঝে নিচ্ছি, তোমার মনের হরিণী আজও ঘাস খাচ্ছে, ফেলে-যাওয়া আমারই এই তুচ্ছ তৃণমাঠে। এই ঘাসের জীবনচক্র আমি থামাতে পারছি না। পদদলিত আর রক্তাক্ত হতে হতেও, এই মাঠের দোকান আমি গোটাতে পারছি না। আমার সমস্ত লোভ তৃণজন্ম পেয়ে, বেড়ে উঠছে তোমার জিহ্বায়।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem