এখানে এখন সূর্যের সোনালী রোদ্দুরে আকাশে ভাসে
নগ্ন পাথুরে আলোর ঝর্ণার জীবন
অনর্গল অবসাদে এ প্রাণ দেখেছে
অঘ্রানের শেষে ধানপোকা উড়ে গেছে
প্রান্তরের জোৎস্নার মাটির উপরে
আরোও কোথাও যেখানে জীবনের স্বচ্ছলতা আছে
ধানফুলের মঞ্জুরি খামারের বাতাস ভ'রেছে প্রাণের আদিম গন্ধে
তুলূসী তোলার নিঝুম প্রদীপে আলোকিত হই নিজদেশে মাটির ধুলোতে
উৎসের অনন্ত জ্যোতির প্রপাতে
সন্ধ্যার গা হিম করা নদীতটে একাকী
নিজস্ব জীবনের দর্শনের খোঁজে ঘুরে মরেছি অনেক;
মনে হয় আমি এক বহমান ফুল, বয়ে গেছি
পৃথিবীর গভীর স্রোতের অন্তরে অন্তরে
বহু পৌষের শীতল রাত্রির আঁধারে
এইভাবে শালিনীর নির্জন নদীর তট
আমাদের অনেক জীবন ভরে দিয়ে গেছে
ধনপোকা মাঠের অস্ফুট শূণ্যতে
রক্তের রেনুর জালিকা দিয়ে
কিছু প্রাণ বুনে উড়ে যায়
আরো কোনো এক দুঃখের অচেনা দেশে;
দেহজ মাটিতে বাঁচার দুর্লভ স্বাদে
প্রাকৃত মেঘের আড়ালে বিদ্যুৎলতা দেখে ভয় পেয়ে
গ্রামের দেশজ ঝিঝিরা ডেকেছে অবিরল
অন্ধকারে বেঁচে থাকার আতীব্র টানে
একদিন হয়তো একাকী ঝরে যাবো শান্ত পৌষের রাত্রিতে
নিজদেশে এই মাটিধুলো ঘ্রানে
তুলসী তলার নম্র প্রদীপের মতো পুড়ে যাবো
নাম না জানা আমার গ্রামের শ্মশানে
অবসাদ পেতে কে আর থেকেছে পরবাসে;
এসো ধানপোকা, তুমিও আমার সাথে রয়ে যাও
জীবনের স্বল্প স্বচ্ছলতা নিয়ে উৎসের অনন্ত তীব্রতার বুকে...
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
একদিন হয়তো একাকী ঝরে যাবো শান্ত পৌষের রাত্রিতে নিজদেশে এই মাটিধুলো ঘ্রানে...///সাবলীল সুন্দর কাব্যিক প্রকাশ; শুভকামনা রইল ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাবে সময়ের সাথে মাটির মিশ্রনে ছাই হয়ে উড়ে যাবে নিঃশ্বেস অদৃশ্যের মহাকাব্যে অশ্রুত লোনাজলে স্মরণিকায় গা ভাসাবে কবিত্বের তরণী হয়ত অমলিন অবিনশ্বর সত্তায়