আমি জানি—
সমুদ্র পাখির অস্থিরতা
অসীম রাত্রিতে তার বাঁচার
সুদীর্ঘ ব্যাকুলতা।
গভীর জলজ হাহাকারের বাতাসে
সেই ছোট্ট হৃদয়ের বুক কাঁপে
দিকহারা নাবিকের মতো;
ক্রমশ দুর্বোধ্য আঁধারে জীবন ঠেকে
নোনতা হওয়ার জ্বরে
অনেক কবিতা এমন দুঃখের রাতে
ভেঙেছে পদ্যের শব্দ
জীবন ও মৃত্যু সেদিন ভেসেছে
পাশাপাশি রক্তের ভেতর
নীরবে নৈরাশ্য উদাসীন অন্তরে ছড়িয়ে যায়
কোনো এক আত্মবীক্ষণের প্রতীক্ষায়;
বিস্ময়ের সেই দৃশ্য নিঃশব্দে জাগায় আমাদের
দুঃস্বপ্নের বিচিত্র শুন্যতা মুছে দিয়ে
অন্ধকার জরায়ুর গহ্বরের প্রাচীন গুঞ্জনে
এক বিকল্প অপাপবিদ্ধ কুঞ্জবনের
ছায়ার তরঙ্গে জেগেছি আমি আদিম আঁধারে;
দিগন্ত কাঁপিয়ে দিনান্তে পেয়েছি
চরম সত্যের স্বাদ, এ জীবন ভালোবেসে
ধ্বংসের প্রান্তরে কুয়াশার বিষাক্ত বাতাসে
শ্মশানের সমাপ্তিতে সন্ধ্যা নেমে এলে
অনুভবে বুঝেছি আমিই যন্ত্রণার অধীশ্বর
তারপর-
মানভূমের সেদিন এ রুক্ষ মাটির
শাল পলাশ ও মহুয়ার বনে, প্রতি বৃক্ষের
ত্বকের গন্ধে প্রাচীন কীটের মতো
ঝিঝি শব্দে মিলে গেছি আমার স্বপ্নের
কল্পনার পৃথিবীর গভীর শিকড়ে,
তাড়িতের মতো ধাবিত হয়েছি উৎস মুলে
ব্যথিত বুকের আদিম যন্ত্রনা মুছে দিতে
আদিবাসী জনপদের কম্পনে
সেই ধূলিকণা গুলি মুক্ত হয়
এই সত্ত্বার অন্তরে কোনো এক
বন্য অরণ্য আত্মীয়তার ঘনিষ্ঠ আবেশে
আমি বিলুপ্তির কথা জানি—
দাউ দাউ জ্বলেছি সূর্যের নিচে
দিনান্তের অভিজ্ঞতা সমূহ জীবন
নিয়ে যায় স্থিরতার দিগে;
জেনেছি সুদীর্ঘ ব্যাকুলতা
পৃথিবীতে আসে যায়
মাটিতে শিকড় আতীব্র ধাবিত হয়
ভালোবাসার উৎসের মূলে....
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem