এখানে এখন
জীবন জেগেছে
পাখির মায়াবী ডাকে, আজো প্রত্নরাতের বাতাসে
শিকড়ের গান খেলা করে
যদিও এখানে প্রান্তিক প্রাণের মর্মে
এক গর্ভবতী বিপ্লবের ব্যাথার করুন ইতিহাস
নীরবে কান্নার গোপন কাহিনী হয়ে শুয়ে আছে
এইসব মেঠো
গ্রামের ভোরের
শিশির বিন্দুতে
সূর্যের নিসর্গ
ভুলিয়েছে আমাদের সেইসব কথা
কঠিন সন্ধ্যার হাত ধরে
নিজেকে বইছি মাটির ঝর্নার দেশে
উদাসী মাঠের
বাউলের মতো রাঙা পথে হেঁটে হেঁটে
দেখেছি বেদনা
কিভাবে পোড়ালো
আমাকে আমারি কিছু ভুলে
অথচ কোথাও কোন দুঃখ ছিলনা
জমাট শিলার প্রাচীন অন্ধকারে
রক্তের নিবিড় স্রোতে, পাথুরে অন্তরে সেই সুরের আকুতি আমাকে জাগায়
দাঁড়িয়ে থেকেছি
ভীষণ নির্জনে, নীরব জ্যোৎস্নার আলো
আজ নির্বাসিত
বৃক্ষের একটি ফুল ছুঁয়ে উড়ে যায় দূরের দিগন্তে
এখানে এখনো
বিষন্ন ফুলেরা স্বজনের বন্ধনে উজ্জ্বল হয়
তাদের নিজস্ব ভাষার সুতীব্র কণ্ঠে
বিশুষ্ক বাতাসে শালবনের সুঘ্রাণ চৈত্রের জীবন জুড়ে
নিজেকে জারিত করে সেই প্রাচীন হওয়ার রাতে
আমাদের নিয়ে যায় প্রতিশ্রুতির প্রান্তিক গর্ভে
যেখানে রাত্রির
দুঃখ প্রতিবার
আষাঢ়ের মেঘে
আচ্ছন্ন থেকেছে
মহুয়ার বনে সেই বিপ্লব গভীরে নীরব আকাশ চিরে
বারবার মানুষের কথা বলেছিলো
একদিন বহুদূর হতে ওদের গানের কলি
সমবেত জনতার ভিড়ে মিশে গিয়ে
বিশ্বাসকে দৃঢ় করে ফিরেছিল শিকড়ের গান গেয়ে গেয়ে
অলখ্যে, নিজস্ব সঙ্গিনীর হাত ধরে
জ্যোৎস্নার রাতের
নদীর কিনারে
শুনেছি অচেনা পাখির অনেক গান
সেদিন আমার প্রতীক্ষার
অন্তরে অন্তরে বয়েছিল
ফল্গুর স্রোতের শব্দহীন
সেসব মাটির মানুষের পদশব্দ
বিচ্ছেদ বেদনা আমাকে ব্যাথিত করে নিয়ে যায়
কালের প্রান্তরে সূর্যাস্তের
এমন সন্ধ্যায় দুহাতে যা কিছু কুড়িয়েছি তার
সমূহ দিনের অভিজ্ঞতা
শতাব্দীর আত্মীয়তা চেয়ে
সিক্ত হতে চায় সেইসব
দেশজ প্রান্তিক
হৃদয়ের স্পর্শে
পরিচিত পৃথিবীর সেই নির্যাতিত অন্তর্লীন
নদীর গভীর ধারা আজ
জীবনের গল্পে চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেয়ে পৌঁছে গেছে
আমি থেকে আমাদের মসৃন সকালে
যেখানে সকল বিশ্বাস মিলিয়ে যায়
স্নেহসিক্ত কুটিরের জর্জরিত অন্ধকার ছিড়ে
প্রেমের অমৃত গর্ভরসে
প্রাণের ফুলের গভীর যন্ত্রণার সেই ইতিহাস
সকলের শীতার্ত হৃদয়ে দিয়ে যায় অনবদ্য সূর্যের গৌরব
আর মেঠো গর্ভবতী গ্রামের বাতাসে
ওড়ে নির্যাতিত
নদীর স্বীকৃত
কাহিনীর শিকড়ের গান
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem