একদিন দহন বেলার জারিত তাপের প্রখরতা
ছিল আমাদের মনে...
গোপন ছিলোনা সেই অশরীরী সমুদ্র উষ্ণতা
সেই ইতিহাসের পাতারা ক্রমশ মলিন হয়
জীবনের মিথ্যার আবেশে
আমাদের পূর্বপুরুষের নক্ষত্র আলোর পথে হেঁটেছি আমরা
প্রাচীন শ্যাওলাগন্ধের বিস্তৃত শিশিরের বুকে
প্রজাপতির রঙিন আকাশ এখনো যেখানে
পাহাড়ি স্তনের কঠিন উপত্যকা বেয়ে নেমে আসে
তারপর, মায়াবী সন্ধ্যায় যোনির গভীর গর্ভে
নিজেকে গিঁথেছি পৃথিবীর প্রাণে প্রাণ বুনে দিতে
এইভাবে অণুবীজ হৃদয়ের অক্লান্ত আনন্দে
চারপাশ ঘুরে ঘুরে ছড়িয়েছে মায়াজালের বিস্তারে
মনেপড়ে শিকড়ের অভিমুখে কিছু বিদ্যুৎযন্ত্রনা সবুজ নিষ্কৃতি চেয়ে
শ্মশানের ছাই হয়ে উড়েছে কখন ব্যথাহত পৃথিবীর দূরের কঙ্কালে
নিঃশেষে চেতনা ভেসে গেছে
আলো ও ছায়ার ধুলোঝড়ে
যেখানে কখনো বিরোধ ছিলোনা
মিলনের অবাধ আনন্দে
কাঁকুড়ে পথের গোচারণ মাঠে শিলাখণ্ডের কঠিন ভূমিতে
নিজেকে শেকেছিলো রাখালী জীবন আদিম মনের নিহিত উত্তাপে|
আর বেদনার অভ্যন্তরে জন্ম দিচ্ছিলো নতুন দর্শনের
অনেক ঘুমের ঘোরে হিমঘুম থেকে জেগে উঠে
দেখেছিল যৌনফুলের আমিষ পরাগের সফলতা
একান্তে সকল প্রাণের প্রাচীন জীবনের আদি কথা বলে
আমিতো দেখেছি মৃত্যুর ভেতর
বাউলের একতারা বাজে দহন বেলার
অশরীরী উষ্ণতার নোনতা আনন্দে
তোমার আমার জীবনের নক্ষত্র মাটির স্বাদে
একতারা দোতারার আঙুলের ছন্দে বেজেছে প্রাচীন শ্যাওলার গন্ধ
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem