চৈত্রের প্রাচীন শালবনের ঘুমন্ত
দেহের স্পন্দনে দেখছি অনেক প্রহর শেষের
ক্লান্তি দীর্ঘদেহের পৌরুষে; ক্রমে তারা বৃদ্ধ হয়ে
নিঃসঙ্গের যন্ত্রণার নিঃস্ব বুকে
পাথরের খাঁজে এক অশ্রুসিক্ত মুখের হতাশা
দিনান্তে খোদাই করে, মনেহয়
হৃৎপদ্মের মন্দির গর্ভে ছ্ট্টো দিব্য দ্বীপ
কারা যেন রেখে গেছে
অবিরল ঝর্ণার প্রবাহে একদিন জন্মভূমির অস্থির
নদীর বিস্মৃত কালোজলে বাঁশি হাতে এসে
কোলাহল করে জন্ম ও মৃত্যুর অন্তরালে
জীবনের স্রোতে বাতাসে উড়িয়েছিলো
ভালোবাসার অমৃত বীজ আদিগন্ত, সেদিনও
জীবনের মেরুঝড়ের অবাধ্য বাতাস বিষন্ন
করেছিল আমাদের মন, তবু তার মাঝে
দেহজ মাটির অন্তরঙ্গ বুকে পৃথিবীর
মৃত বিস্তৃতি ছিলোনা,
নক্ষত্র পুঞ্জ্যের মতো মানব ঋষিরা ঘিরেছিল
আমাদের সুন্দর জীবন
সেদিনও বিশ্বাসের উপর বিশ্বাস রেখেছিলো হাত...
পশ্চিমের স্তব্ধতার এককোনে শৈশবের
হাঁটুভরা খরস্রোতা জোড়ের বিশীর্ণ জোৎস্না মাখা দেহ
আমাকে জড়িয়ে নিয়েছিল তার
অনুভূতির প্রত্যন্ত প্রদেশ আদিম দেহজ ধুলোর গন্ধে...
নিঝঝুম তরঙ্গের নীল বিমূর্ত কুহকী ভোরের
নরম প্রান্তর বিস্ময়ে দেখেছিলো আমাদের ভালোবাসা
তেপান্তরে ফুটেছিলো প্রসন্নের রক্তিম ফুলেরা
ধ্বংসের স্তুপের উপর সমূহ জনপদে প্রেরণার
গ্রন্থিগুলি বাঁচার স্রোতের সুদীর্ঘ উৎসবে কল্লোলে
দুঃখের কথা ভুলে জেগে উঠেছিল অমৃতের চিরন্তন সুরে
আগুনের দহনের ধর্ম চিরকাল আছে,
তবুও প্রান্তিক কিরণ নিজস্ব নিথর ভূমিতে
স্পর্শ করেছিল প্রকৃতির সমূহ আনন্দ
নদীবক্ষে অফুরন্ত ভাটিয়ালি গানের শীতার্ত করুন কণ্ঠের স্বরে
মানুষের হৃদয় প্রসন্ন করেছিল
ভরা ফসলের খেতে একদিন নিসর্গ দেখেছি
সেদিনও নীল আকাশের গোধূলির ধুলো গন্ধে
আচ্ছন্ন হয়েছে আমাদের মন
আনন্দের ডানা ঝাপ্টে ওড়ে প্রাণের প্রগাঢ ধারা
বিষন্ন সন্ধ্যাকে ম্লান করে-কোনো এক আলোদেশে
এইসব বিস্ময়ের চিহ্ন সঁপে দিয়ে
ছায়া ঢাকা বাউলের ছন্দের উদাসী চলন
আমাকে গিঁথেছে নরম প্রাণের মায়াবী মর্মে
এখানে এখন শুধু স্মৃতি আর স্মৃতি,
প্রাচীনকে ডেকে আনে নিজেকে জাগাবে বলে
স্মৃতির শরীর সে তো অনুজ্বল শব্দ সমুদ্দুর
আমিতো ছুঁইনি কখনো বিমূর্ত সেই দেহ
তবু অবাধ্য গন্ধের মতো সেই স্মৃতি ছেয়েছে আমাকে
উড়ে উড়ে কল্পনা এঁকেছি দিগন্তে
নিজস্ব অভ্যসের জ্ঞানে...
তারপর তার সেইসব ইতিহাস ঝরে যায়
মাটির মনের গভীর সঞ্চারপথে....
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem