রক্ত পোড়া অন্ধকারে
শ্রাবণের রাত ঘন হয়ে আসে
এমন রাত্রিতে ঘুম ভেঙে গেলে
দু'হাতে খুঁজেছি তোমাদের হাত…
শিলাযুগে আত্মার অসুখ
কোনদিন ছিলনা ঘুমন্ত পৃথিবীতে
হলুদ পাতার ফসিল আজও
চেয়েআছে হেমন্ত রোদ্দুরে
মুঠো মুঠো ইতিহাস
জেগে ওঠে আমাদের
বুকের ভেতর আদিম শরীরে
মরে মরে জন্মেছি আবার
এই মাটির আঘ্রানে;
মৃত শালিখের দেহ হতে ঝরেছে নশ্বর মাংস;
দুপুর রৌদ্দুরে পৃথিবীরহলুদ করুন ঠোঁট
প'ড়ে থাকে ফসলের আলে
জ্যোৎস্নার রাঙানো পায়ে
লুটিয়েছে পৃথিবীর দেহ
সেদিন—
সন্ধ্যায় কত প্রিয় কণ্ঠস্বর
শুনিয়েছে হৃদয়ের স্নিগ্ধ গাঢ় ভাষা
জ্ঞানের আলো খুঁজে নিতে
পুরনো গুহার ঋণ
সুধে দিতে আজো তারা আসে
প্রেমের অমৃত অভিজ্ঞতা
দিতে এসে দেখে—
নগরীর অন্ধকার; ধোঁয়ার কুণ্ডলী শুষ্ক প্রান্তর ছেয়েছে
রুগ্ন শবদেহ- ভগ্ন স্তূপ থেকে উড়ে আসা জীবনের
কলরোলে ক্লান্ত হলে
তারা আবার দেখেছে -
মৃত নদীর কঙ্কাল
পৃথিবীর প্রাচীন পাথরে ভাসে…
এই আকাশের তলে
আমার ছড়ানো বীজ
তবে আমারই পাপে ঝলসে গেল কি!
পুড়ে ছাই হল বসন্তের রাত!
এই দেহ হাড় মাংস
সকলই নিলামে উঠল কানায় কানায়—আমারই পাপে!
শ্রাবণের রাত ঘন হয়ে এলো
জ্যোৎস্নার আলোয় আমি যাব
পুরানো গুহায় প্রেমের অমৃত অভিজ্ঞতা নিতে
একদিন
ধানের শীষের হাওয়ায়- সিন্ধুর জলে
মহুয়ার গন্ধে ভরে নেবো
আমাদের অনেক হৃদয়
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem