পৃথিবীতে বিষন্ন গোধূলি
দেখিনি কখনো।
বারবার দিগন্ত আড়াল করে দৃষ্টি
জলচোখে দূর নক্ষত্রের দিকে চেয়ে থাকি—
ফুটপাতে ঘুমন্ত শিশুর
উলঙ্গ শরীরে মুখ রেখে
ঘুমোইনি কোনদিন।
সারাদিন পথে ঘাটে ভিক্ষা করে
যে জেনেছে স্নেহের সীমান্তে কাঁটাতার—
কোনো অধিকারে জোর নেই তার
কে ঘুচবে এই অন্ধকার!
দধিচির অস্থি মাংসে
অসংখ্য প্রদীপ জ্বেলে—
এবার সন্ধ্যাতে আমাকে প্রবিত্র করো
এতকাল মৌন থেকেছি সকলে
আজ এসো ভালোবাসার মিছিলে…
অলস দুপুরে বৃদ্ধকে দেখেছি—
মাড়ির খিলান হতে
তার দাঁতের শিকড়
চেয়ে আছে- একমুঠো উচ্ছিষ্টের দিকে
দাও যত কষ্ট আছে
যত দুঃখ আছে দাও
দাও আছে যত অন্ধকার
ফিরিয়ে দেবে কে তোমাকে তোমার অধিকার!
দুর্দিন দরজা ভেঙে ঢুকেছে ভিতরে
এসো ভালোবাসার মিছিলে
এবার সন্ধ্যাতে আমরা প্রবিত্র হবো
যত অন্ধকার আছে দাও
আমি প্রদীপ জ্বেলেছি
তোমাকে তোমার অধিকার দিয়ে যেতে
হাহাকারের সীমান্তে
আলো ঢুকবে দরজা ভেঙে
ভালোবাসার ভূমিতে
অবিরল গান গেয়েছে পাখিরা।
হত্যার নিষ্ঠুর কোনো দৃশ্য
আমাদের দু'চোখ ব্যাথিত করে
জীবনকে অনিশ্চিত করে নাই
পৃথিবী বিষন্ন গোধূলি দেখেনি কোনদিন...
এসো আজ আমরা সকলে হাঁটি
ভালোবাসার মিছিলে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem