হে মহাকাব্যের কবি
অনন্ত ক্লান্তির আঘাতে রয়েছো
দীর্ঘ মন্দিরের মতো যোজন গন্ধার গন্ধ নিয়ে
শ্মশানের ধোঁয়াতে মিলিয়ে যায়
বহু শুদ্রা ধীবর জননী সত্যবতী
সেইদিন সন্ধ্যার গোধূলি নেমে
যমুনার বুকে রঙিন আল্পনা ছেয়েছিল মাথার উপর
মেঘার্ত আকাশ-বাতাস বিদীর্ণ করে
কুমারী গর্ভের করুন সন্তান-
কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন; আজো মনে রেখেছে তোমাকে
মানুষের চিরন্তন মন
অবজ্ঞার অন্ধকারে একাকী নির্জন দ্বীপে
বহু রাতের নির্বাক দুঃখে জেনেছিলে
রক্ত নদীর স্রোতের পৃথিবী ধাবিত হয় প্রকৃতির দিকে
নীরব স্বীকৃতি পেয়েছিলো শুদ্রার মাতৃত্ব
তোমার জন্মের কাহিনী মর্তের বুকে রেখে গেছে পরাশর মুনি
বুঝেছিলে সংরাগের অবৈধতা
আমাদের রক্ত মাংসের শরীরে নেই কোনদিন
তবু উপেক্ষার অভিমানে নৈসর্গের প্রিয় ফুল দিতে
বারেবারে প্রেমার্দ প্রদীপে জ্বেলে রেখে গেলে
সেই কাব্য মাথার শিয়রে
মানুষের হৃদয়ের আঁধারে গোপন চেতনার বেদনারা ঝরে
বিচ্ছিন্নের যন্ত্রণার অশ্রুকণা দিয়ে
সেই মহাকাব্যের কল্পনা এঁকে দাও
শুদ্রার বিনিদ্র মাতৃত্বের সংরাগে
কুমারী মাতৃফুল চিরন্তন
শ্মশানের ধোঁয়ার গভীরে গন্ধ ছড়াবে
যে মহাকাব্যের কবি
রক্তনদীর স্রোতের কাহিনী
ধাবিত হয় জীবনের আকাঙ্ক্ষার স্বাদে
অভিজ্ঞ মাটির সুরে পরাশর মুনি আসে পৃথিবীর পথে
আরো কোনো এক মহাকাব্যের নতুন কথা বুনে দিতে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
কুমারী গর্ভের করুন সন্তান- কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন; আজো মনে রেখেছে তোমাকে মানুষের চিরন্তন মন অবজ্ঞার অন্ধকারে একাকী নির্জন দ্বীপে বহু রাতের নির্বাক দুঃখে জেনেছিলে রক্ত নদীর স্রোতের পৃথিবী ধাবিত হয় প্রকৃতির দিকে নীরব স্বীকৃতি পেয়েছিলো শুদ্রার মাতৃত্ব তোমার জন্মের কাহিনী মর্তের বুকে রেখে গেছে পরাশর মুনি বুঝেছিলে সংরাগের অবৈধতা আমাদের রক্ত মাংসের শরীরে নেই কোনদিন.......অসাধারণ লিখেছেন; vote for anthology