গোধূলি সন্ধ্যার নম্রদুঃখ নদী জলে
দেখেছি নিজেকে
অস্থির আত্মার
বিস্ময় আকাশ
সেখানে নিবিড় ফুটে ওঠে
নীল ব্রম্ভান্ডের
বহু অসমাপ্ত
জন্মের অঙ্কুর আর তার প্রত্নরক্তপ্রতিকৃতি
আজো জেগে থেকে আমাদের দিকে চায়
স্মৃতি তো নির্বাক—
দিয়ে গেলো শুধু
জীবনের তীব্র বোধ- অনন্তের অন্তিম দংশন
দহনের অন্তর্ঘাত প্রকৃত শূন্যতা
জাগলো শরীরে
রাতের বিষন্ন কুয়াশা জড়িয়ে ধরে
প্রাচীন করুণতম শিরা
উপশিরাগুলি
স্নায়ুর আদিম যুদ্ধের অন্তরে সেই আর্তনাদ নিঃশেষে আমরা গ্রহণ করেছি মহা সময়ের
মূলের প্রবাহে রয়ে গিয়ে
তারপর বহু তিতিক্ষার অনুভবে
স্বচ্ছন্দে সমূহ পৃথিবীর
মাটিকে প্রণাম
জানিয়ে কঠিন পাথরের বুক ভেঙে
আতীব্র জেগেছি অবেলার অন্ধকারে
দূরের অতীত হতে দুঃখের আগুনজন্ম নিয়ে
জ্বলে ওঠে হৃদয়ের দেশ
মানুষের বহু পরাজয় ঢেকে
বিজনে অপার ভালোবাসার জীবিত
মন্ত্রের অনন্য ঘন মুগ্ধতার দিকে
নির্নিমেষ চেয়ে থেকে জীবন জেনেছে
জীবনকে জীবনের স্বাদ দিতে
তারপর উড়ে গেছে শীতের সুদীর্ঘ
কুয়াশার রাতে
মাতৃজঠরের
ব্যথিত নরম ঘাসবনের আঁধারে
নিভৃতে নির্মম হাহাকার মুছে দিতে
সকলেই ঝরে যায় চূড়ান্ত পশ্চিমে
শোকের নিবিষ্ট মুখ তবুসোনালী রোদ্দুর
খোঁজেে
রূপসীর নাভিমূলে দেহজলে তোমার আমার রাত
পোড়ে
তবু নদীতীরে বাউলের গান -সন্ধ্যার অচেনা
গ্রামের ঝিঁঝিঁর ডাক ওতপ্রোত হ'য়ে
গোধূলিচোখের মৃদু শান্ত জলে ভাসে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem