অস্বচ্ছ কাঁচের মধ্য দিয়ে তুমি স্থূল জিনিসপত্র দেখতে পাবে।
কিন্তু কোন সূক্ষ্ম জিনিস কি দেখতে পারবে? নাহঃ পারবে না।
যদি গভীর করে তুমি ভাবো বা পর্য্যবেক্ষণ করো তো দেখবে- যা কিছু ভীষণ সূক্ষ্ম তাই সবচেয়ে সুন্দর। লিওনার্দো ভিঞ্চির আঁকা মোনালিসা ছবি পৃথিবী বিখ্যাত কেন? যদিও মডেল হিসেবে মহিলাটির সৌন্দর্য্য কিন্তু সাধারণ। তার উপর চোখের ভ্রুতে বা চোখের পল্লবে তার কোন চুল নেই। তবুও তা পৃথিবী বিখ্যাত কেন? এর কারন সূক্ষ্মতা। সেই সূক্ষ্মতার বর্ণনা এখানে আমি করবো না। যদিও মোনালিসা ছবির সূক্ষ্মতা নিয়ে অরুণ মাজী একশো পাতার একটা বই লিখতে পারে।
কথা হচ্ছে সৌন্দর্য্য দেখতে না শিখলে, বা সৌন্দর্য্য দেখার মানসিকতা তৈরী না করলে; তুমি বাঁচার তাগিদ হারিয়ে ফেলবে। পৃথিবীকে যদি নোংরা বা নিষ্ঠুর মনে হয়, তো সুন্দর করে তুমি কি বাঁচতে চাইবে? এইজন্যই যারা অবসাদগ্রস্ত, তারা নিজেকে যত্ন করতে ভুলে যায়। তাদের কাছে বেঁচে থাকা বোঝা। তারা কোন কম্মে বেঁচে আছে। তারা মরতেও কুন্ঠিত। বাঁচতেও কুন্ঠিত। (যত্ন মানে ঠোঁটে আটচল্লিশ বার লিপস্টিক ঘষা নয়। যত্ন মানে জীবনে এমন কিছু করা, যা তোমাকে কম দুঃখ নির্যাতন দেবে।)
তোমার "আত্মার চোখ" একটা কাঁচের মতো। সেই কাঁচ যদি হিংসা বিদ্বেষ লোভ ঘৃণা ইত্যাদি দিয়ে ঘন করে ঢাকা থাকে, তাহলে তুমি কোন সূক্ষ্ম জিনিস কি দেখতে পারবে? নাহঃ পারবে না। কক্ষনো না। সূক্ষ্মতার মধ্যে যেহেতু সৌন্দর্য্য, তাই এই মহাবিশ্বের অনন্ত সৌন্দর্য্য- তাও তুমি দেখতে পাবে না। বাঁচা তোমার কাছে- উদর সর্বস্ব, যৌন লিপ্সা সর্বস্ব, পশুর বাঁচার মতো হবে।
গোধূলি দেখতে সুন্দর? অথবা তোমার ঘরের ড্রয়িং রুম দেখতে সুন্দর? অবশ্যই গোধূলি। সেই গোধূলি প্রতিদিন তুমি বিনে পয়সায় তোমার বাড়ির ছাদ থেকে দেখতে পারো। তা তুমি করো না। তুমি বরং ব্যাংকের কাছে,নিজেকে আমৃত্যু বন্ধক রাখো। কেন? তুমি সুন্দর ড্রয়িংরুম যুক্ত একটা ফ্ল্যাট কিনেছো। গোধূলির অনির্বচ্চনীয় সৌন্দর্য্য বিনে পয়সায় তুমি নিলে না। কিন্তু ব্যাঙ্কের ঋণের জ্বালায় আজীবন স্ত্রী-পুত্র সহ জ্বলবে জেনেও, দামী ফ্ল্যাট কিনে ফেললে তুমি। "বাঁশ কেন ঝাড়ে, এসো আমার পশ্চাৎদেশ দ্বারে"।
নরকে ঝাঁপ দিলে কেন তুমি? তোমার বন্ধুর যেহেতু দামি ফ্ল্যাট আছে, তো তোমারও থাকতে হবে। তোমার বন্ধুর ডপকা সুন্দরী বৌ আছে, তো তোমারও থাকতে হবে। সুন্দরী বৌ তোমার থোঁতা মুখ ভোঁতা করে দেবে, তা তুমি ভাবলেও না। (ব্যতিক্রম আছে! ?)মাধুরী দীক্ষিতের উঁচু বুক আছে, তো পেন্তীর মা বায়না ধরেছে- তারও উঁচু বুক থাকতে হবে। পেন্তীর মা এখন সিলিকন ব্রেস্টের জন্য, কম খরচে একটা হাতুড়ে ডাক্তার খুঁজছে। (চটিবাজ মুখ্যমন্ত্রীর বাংলাতে সব সম্ভব।)
যা বলছিলাম- মহাবিশ্ব অনন্ত সৌন্দর্য্যময়। সেই অসীম সৌন্দর্য্য তোমাকে প্রতিমুহূর্তে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আমি একে ঈশ্বরের ডাক (CALL OF DIVINITY)বলি। সে ডাক কি শুনতে পাও তুমি? যদি শুনতে পাও, তোমার কাঁচ স্বচ্ছ।যদি না পাও, তোমার কাঁচ তুমি এখনই ঘষতে শুরু করো।
পশুরা- উদর আর যৌন লিপ্সা সর্বস্ব হয়ে বাঁচে। অরুণ মাজীও যদি উদর আর যৌন লিপ্সা সর্বস্ব হয়ে বাঁচে, তো ঘৃণ্য পশুর সাথে উন্মাদ অরুণ মাজীর তফাৎ আছে কি?
© অরুণ মাজী
excellently written- তোমার আত্মার চোখ একটা কাঁচের মতো। সেই কাঁচ যদি হিংসা বিদ্বেষ লোভ ঘৃণা ইত্যাদি দিয়ে ঘন করে ঢাকা থাকে, তাহলে তুমি কোন সূক্ষ্ম জিনিস কি দেখতে পারবে? নাহঃ পারবে না। কক্ষনো না। /// great like it The Eye of Soul - the crystal mirror of everything within self Yes- let the eye of soul awake and seek yourself certainly find everything withing you
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
Excellent vision...