সমুদ্র গর্জনের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে আমি বহু বহু
দূর-স্বজনদের আর্তনাদ শুনলাম; তবে কী গাঙচিলেরাই
এতকাল ঠোঁটে ঠোঁটে বহন করে এসেছে মানুষের যন্ত্রণা
ও তার পরাজিত উত্তরাধিকার!
বালুতে আছড়ে-পড়া অগণন ঢেউয়ের স্ফূর্তি আর মডেলকন্যাদের
প্রিয় সাবানের ফেনার মতো বুদ্বুদ দেখেই একদিন জেনে ফেলেছি,
পৃথিবীতে কোথাও না কোথাও রয়েছে বিপুল পর্বতমালা; পাহাড়
কাটতে কাটতে তুমি যতই সমতল বানাও— পালাতে চাও— সমুদ্র
ঠিকঠাক ধেয়ে আসছে তোমার দিকেই; আমি, সমুদ্রবর্তী এবং আবারও
নিমগ্ন হচ্ছি বিশ্রুত সেই গানে— নির্বাধ ঢেউয়ের বিপুল
বিস্তারে যার সুরের সঞ্চালন; আর বাণী— এতই নিরুশ্চার যে,
মৌনতা— তার পক্ষে কোনও যোগ্য অভিধাই হতে পারে না;
আমি ফিরে যাচ্ছি আবারও সেই অভিধানে, যার বর্ণগুলি
স্বর ও ব্যঞ্জনে বিভক্ত নয়— শব্দগুলি নীল, সবুজ, পিঙ্গল,
কালো, লাল এবং আরও সব বিচিত্র রঙের; রঙই তো শব্দ!
আর বিশালাকৃতি বিষণ্ন অই গাছগুলিও কী সংগীতপ্রতিভা নয়?
অচেনা ক্ষুদে-পোকাদের অবিরাম অর্কেস্ট্রায় কী মহান সেই
বৃক্ষসংগীত; নৈঃশব্দ্য— কিন্তু সুর তার ভেসে যাচ্ছে দিকচক্রবালে—
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem