আপনি তো নিজেই কথা রাখেননি
কেনই বা রাখবে অন্য লোকে কথা? যখন আপনি নিজেই
দেয়া কথা রাখতে লজ্জাও পান না? ভুলে গেলেন নাকি?
তাহলে মনে করিয়ে দিই । ‘কৃত্তিবাস' পত্রিকার পঞ্চদশ সংকলনে
লিখেছিলেন: "পুরস্কার পায় কারা? যারা তথাকথিত
জীবনে নিরুদ্বেগ; যাদের অর্থসম্পদ আর প্রতিভা যথাক্রমে
প্রচুর আছে আর সামান্যতম নেই । এবং যাদের হাত
সবসময়েই অপরের পদধূলি নিয়ে-নিয়ে নোংরা হয়ে থাকে ।
পুরস্কার একমাত্র নেওয়া সম্ভব ঈশ্বর অথবা শয়তানের
হাত থেকে ।"
কী দাঁড়ালো ব্যাপারটা তাহলে? নিজেই ঈশ্বর আর শয়তানের
ডবল ভূমিকায় নেমে বিলোলেন নোংরা পদধূলি । কাদের বলুন তো?
সেই সব কাকতাড়ুয়া লোকেদের যারা বউয়ের বিছানায়
কচিখুকিদের ফুসলিয়ে দুপুরে আমোদরস ফ্যালে!
আর আপনার মোহাসেবদল? ল্যাংপেঙে পৌরকর্মী
উঠতে-বসতে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার বাকতাল্লা ঝেড়ে ঢুকে গেল
‘আজকাল' পত্রিকায়, তারপর বুদ্ধ ভটচাজের ল্যাঙবোট -
পুরস্কার পাবার ধান্ধায় । অন্যজন তিন বছর প্রেমিকাকে
আশ্বাস দিয়ে দায়িত্ব পাবার ভয়ে পালালো কলকাতা, আর, হ্যাঁ,
চাকরিসহ পুরস্কারও পেলো ।
বুড়ো হয়ে বুঝতে পারি শয়তান বা ঈশ্বর বলে কিছু নেই।
সবই আপনার মতো লোকেদের তামাশা-বাজানো ডুগডুগি
যারা নিজেরা কথা রাখতে ভুলে গিয়ে অন্যদের দোষ খুঁজে পায় ।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem