সীমান্ত
মাধবী বন্দ্যোপাধ্যায়
কাশ্মীর ভ্রমণকালে আমি একবার
পাকিস্তানের সীমানায় ঢুকে পড়েছিলাম।
কর্তব্যরত প্রহরীরা সেটা পছন্দও করেনি
সীমানা সম্বন্ধে সদা সচেনতা তাদের শিরায় শিরায়
ওরা যেশপথের শত্রু!
ফলে ওরা আমাকে সীমাবদ্ধ বকুনিও দিল।
আমি ঐ ভূখন্ডে গিয়ে অবাক
এখানকার মাটি নাকি পাকিস্তানের
তারকাঁটা দেওয়া পিলারগুলোকে উঠিয়ে ফেললে তো
একই জমিন।
কাঁটাতারের এপারের বাসমতী চালের সুবাস
আর ওপারের বাসমতী চালের সুবাস তো
মিলেমিশে পুরো তল্লাটকে সুবাসিত করে রেখেছে
ভারতের এই চিনার গাছের পাতাটা তো
উড়ত উড়তে পাকিস্তানেই যায়
আর পাকিস্তানের পপলার গাছের পাতা
হেলতে দুলতে ভারতের মাটিতে পড়ে
পাতার কোনো ভিসা লাগে না।
এ পারের চিনার গাছের ওপর
আর ওপারের পপলার গাছের ওপর
একই সূর্য কিরণ দেয়।
পাতাটি যতক্ষন গাছে থাকে
ততক্ষনই পাকিস্তান কিংবা ভারতের হয়।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem