শোনো, তোমাদের সবাইকে "শুভ বন্ধুত্ব দিবস"
তোমরা সুখে থেকো, ভালো থেকো।
আমি দুঃখিত, যে এতো পরে তোমাদেরকে আমি "শুভ বন্ধুত্ব দিবস" জানালাম ।
আসলে কি জানো? আজকাল, এতসব "দিবস" হয়েছে- আমার ক্যাবলা মাথা তা, ঘিলুতে বাঁধতে পারে না। তার মানে এই নয় যে, এইসব দিবস অনাবশ্যক। আমি মনে করি, এইসব দিবস কিন্তু ভীষণই আবশ্যক। স্বল্প স্মৃতির মানুষকে যদি, বিশেষ একটা কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, তাতে লাভই বেশি। এজন্য তোমরা, যতখুশি দিবস পালন করো।
পারলে, অরুণ মাজী যখন অক্কা পাবে, তখন তোমরা "উন্মাদ দিবস" পালন করো। সেই "উন্মাদ দিবসে" তোমরা- কৌপিন পরে, অর্দ্ধনগ্ন গাঁজাখোর সেজে, পরস্পরকে উন্মাদের মতো জড়িয়ে ধরে আদর করো। আমি চাই, এই পৃথিবী একদিন বদ্ধ উন্মাদ হোক। বদ্ধ উন্মাদ হয়ে, মানুষ আবার গুহা সভ্যতায় ফিরে যাক।
একটা কথা কিন্তু মনে রাখতে হবে। মানুষের মস্তিস্ক কিন্তু বেশ ছোট। আর তা মাঝে মাঝেই গন্ডগোল করে। কাজেই কেউ যদি, তোমাকে কোন দিবস জানাতে ভুলে যায়, তার উপর তোমরা অভিমান করো না বাপু।
তোমরা কি জানো- আমার কিছু প্রিয় দাদা দিদি, আমার উপর অভিমান করে, আমার মুখ দেখা বন্ধ করে দিয়েছে। তাদেরকে আমি এখন বলছি- "দেখুন, এই আপনাদের উন্মাদ ভাই, এখুনি এক মাইল লম্বা 'নাক খত' দিলো। এবার আপনারা হাসি হাসি মুখে, আমাকে একটু টিটকিরি করে যান।"
আবার বলছি- আমি একটু লিখতে পারি, তা আমার কোন কৃতিত্ব নয়। আমি লিখতে পারি, কারন- তোমরা আমাকে নিঃস্বার্থ নিরলস উৎসাহ দাও বলে। তোমরা আমাকে ভাবাও বলেই, আমি ভাবি। তোমরা আমাকে লেখাও বলেই, আমি লিখি। আমার রক্তের প্রতিটা বিন্দুতে তোমাদের ভালোবাসা আর ত্যাগ। আমি- আমি নই। আমি- তোমাদের হৃদয়ের স্পন্দন দিয়ে গড়াএক পরিজীবী অস্তিত্ব। তোমরা আমার পিতা মাতা গুরু ঈশ্বর। তোমাদেরকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা । বন্ধুত্ব অটুট থাকুক সারা জীবন।