আমার এক বোন ছিল- নাম শৈব্যা;
বয়স ছিল তার- বছর তিন,
আর আমার মাস তিন ।
বড় বোনের বয়স ছিল পাঁচ,
আর তার ছিল বুদ্ধির মারপ্যাঁচ;
থাকতে চাইতো না বাড়ীতে
সে কথা শুনেছি মার মুখে-
জ্ঞান হলে ।
আমার সেই তিন-বছরের-বোন
দেখতো আমাকে আর বকুনি দিতো
বড় বোনকে ।
বড় বোনের পাড়া-ঘোরা ছিল সার,
সে তো সাড়া দিতো না,
ছোট'র কথায় একবারও!
পাড়ার দিদি রোহিনী- তার মা আসতো
আমাদের বাড়িতে তিথি- অতিথিতে
এসেই বোনকে ভয় দেখাতো-
সেছোট্ট ভাইকে নিয়ে যাবে ।
তাই বোন থাকতো - ভাইকে আগলে-
যদি নিয়ে যায়- সেই ছিল তার ভয়!
মা সংসারের কাজ দেখতো-
একদম নির্ভয় ।
শিশু কাঁদলে, বোন চেঁচিয়ে মা'কে দিতো খবর;
সেই টুকুতেইছিল তার বিনোদন-অবসর।
রোহিনীদি'র মা ঠিকই বলেছে-
নিয়ে যাবে ভাইকে- পারে নি;
তবে নিয়ে গেছে বোনকে;
এক রাতের জ্বরেবোন চলে গেছে
কোন অসীমে- কোন অচিনপুরে !
মা'র কথায় বোনকে স্মরণ করছি
অশ্রুসিক্ত চোখে,
আজ প্রাতে ।
______________________________
(প্রকাশঃবাতায়ন, বিংশ সংখ্যা, ২০১৪ ।)
খুব দুঃখের স্মৃতি, ভীষণ কষ্ট দায়ক। শুনেছি মায়ের রোষের হাত থেকে বাঁচাতে আমার দিদিও আগলে রাখতেন আমাকে, সেই দিদি আছেন আমার কাছে মায়ের মত। ভালো উপস্থাপনা। - বিভূতি দাস ১৫/০৫/২০১৭, ১১: ০৪ মি:
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
চোখে জল এসে গেল। খুব কষ্ট পেলাম মনে। এমনিতেই কবিতার কোন কোন অংশ লেখার বা পড়ার সময় অনেক কাঁদি আর এতো মর্মন্তুদ কাহিনী। অনেক শুভকামনা রইল প্রানে প্রিয়কবি। সঞ্জয় কর্মকার ১৫/০৫/২০১৭, ১০: ২৮ মি: