মিথ্যে সব হোক কুপোকাত Poem by Mir Munirul Islam Salim

মিথ্যে সব হোক কুপোকাত

ঐ ধেয়ে আসে মহা প্রলয়ের, ভীম গর্জন জলোচ্ছ্বাস
মুসলিম খুনে টগবগে ঝড়, উদ্ধত পাপীর করিতে নাশ।
কোরআনের অপমান, হাদীসেরে করে ঘৃণা, কে সে পাপীষ্ঠ নাফরমান
সৃষ্টির মূল মুহাম্মদ (সঃ) এর আজ, কে করিস ওরে মিথ্যে বয়ান?
কোরআন মানে যে ইসলাম, হাদীস তার প্রমাণ, মহাসত্য সে উন্নত নিশান
কিসে হানিস আঘাত? কে তুই নরাধম? মিধ্যে কাল্পনিক বলে দিতে চাস প্রমাণ?
সালমান রুশদী! ওরে কুখ্যাত লেখক, ওরে বর্বর, পিশাচ, হার্মাদ কাপুরুষ
বুদ্ধি বিবেকেরে সব রসাতলে দিয়ে, এতো যে হলে আজ বেহুঁশ?
ঐ চেয়ে দেখো বিশ্ব জুড়ে, কি আগুন জ্বলিছে মুসলিম খুনে
এ কেমন ঢল্ নামিয়াছে আজি, কি কথা আজ লাখো শ্লোগানে?
সালমান রুশদী! দেখেছো কি ভেবে একবার কভু, কি খেলায় আজ উঠেছো মেতে
এ কেমন কন্টক মালারে আজি, কন্ঠে নিয়েছো স্বযতনে গেঁথে?
কোরআনের আঘাত, রসুলের অবমাননায়, ভেবেছো বুঝি পেয়ে যাবে ক্ষমা
মিথ্যে সে আশা! পাবে নাকো তা, লঙ্ঘন করেছো চরম সীমা!
ব্রিটিশ প্রভুর প্রহরায় থেকে, ভেবেছো বুঝি পেয়ে যাবে রেহাই
হবে নাকো তা ক্ষণকালে কভু, আজিকে তোমার নিস্তার নাই।
ঐ চেয়ে দেখো বিশ্ব মুসলিমে, নেমেছে কেমন একতার ধারা
প্রস্তুত হও মৃত্যুরে লভিতে, নরাধম পাপী ধর্ম হারা!
সালমান রুশীদ! রে পাপীষ্ঠ বর্বর দূরাচার
নবী কটাক্ষ লেখনীতে তব, কাঁপেনিকো কলম ভুলে একবার?
ধ্বংস হও রুশদী! ধ্বংস হয়ে যাক্ তব সব, সমূলে হোক বংশ নিপাত
জ্বলে পুড়ে সব হয়ে যাক্ খাক্! 'স্যাটানিক ভার্সেস' হোক কুপোকাত।
ঐ চেয়ে দেখো ফাঁসীর কাষ্ঠে ঝুলিছে রুজ্জু, লিকলিকে সে তীক্ষè ধার
বল্ নরাধম! কি উপায় হবে, পালাবে কোথায় আজিকে এবার?
ভেবেছো তুমি মুসলিম খুনে নেই কোন তেজ, নিভে গেছে সব ইসলামের বাতি
তাই বুঝি কলমে যা-তা লিখে, পেয়ে যাবে তুমি অব্যাহতি?
সালমান রুশদী! ঐ চেয়ে দেখো, দাঁড়ায়েছে কত বীর সৈনিক! চির উন্নত শির
ভয় নেই বুকে, ঈমানী জোশ মেখে, উম্মৎ কত প্রিয় নবীজির
ঐ মারে হাঁক! তৌহিদী ডাক! কন্ঠে সবার এশ্কের তক্বির
মুসলিম কভু বিশ্বে কেহ, মিথ্যের কাছে নোয়াবে নাকো শির!
বাক স্বাধীনতা, লেখনীর দোহাই, নির্লজ্জ সেসব উক্তি যে আজ হায়
অর্থবিহীন পাগলেরই প্রলাপ, সেতো শুধু উন্মাদেরই শোভা পায়।
এমনই শিক্ষা পাবে আজ তুমি, বিশ্ব মুসলিমের সুকঠিন বিচারের কাঠগড়ায়
বিশ্ব জুড়ে তা রবে অক্ষয়, যেন কেউ আর কোনকালে কভু এ পথে পা না বাড়ায়।
সালমান রুশদী! কুখ্যাত লেখক! তব 'স্ট্যাটানিক ভার্সেস' হোক আজিকে ধ্বংস নিপাত
ফাঁসীর কাষ্ঠে তব দেহটি ঝুলে, হয়ে যাক সব মিথ্যে কুপোকাত।

রচনা কালঃ শাবান সংখ্যান ১৪০৯ হিজরী, মার্জ ১৯৮৯ ইংরেজী,
মাসিক দ্বীন-দুনিয়া, চট্টগ্রাম।

'বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম'
বেদনার অমানিশা রাত
মীর মুনিরুল ইসলাম সেলিম
বিশ্ব মুসলিমের দ্বারে এসে পুনঃ হানিলো নিঠুর কুঠারাঘাত
প্রিয় নবীজীর উম্মতের হৃদয়ে, ছেয়ে গেল বেদনার অমানিশা রাত।
আহা কি নিঠুর সেই না বেদনা, কি নির্মম না কষাঘাত
বিশ্ব জুড়ে মুসলমানের বুকে, মুহূর্মুহূ করছে শেলাঘাত।
দেড়শ কোটি মুসলমান বেঁচে আছে আজো, এ বিশাল পৃথিবীতে
আখেরী নবীর গুনাহ্গার উম্মৎ, দিতে পারে অনায়াসে বুক পেতে।
কাকে নিয়ে করিস ব্যঙ্গ উক্তি, কাকে নিয়ে করিস ব্যঙ্গ রচনা
এস্পর্ধা কোথা থেকে এলো তোর, কোথা পেলি এ ভৌতিক কল্পনা?
আসমান ও জমিনের আঠারো হাজার সৃষ্টি, যাঁর কারণে হয়েছে সৃষ্টি
কাকে নিয়ে আঁকিস ব্যঙ্গ কার্টুন, রে পাপীষ্ঠ, কি জঘন্যতম তোর অনাসৃষ্টি।
যাঁকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ্, করতেন না কোন কিছু সৃজন
করতেন না সৃষ্টি আসমান জমিন, সাগর পর্বত পশুপাখী পবন।
মানুষ ও জ্বীন হোতনা সৃষ্টি, হোতনাকো গাছপালা তরুলতা।
কিছুই সৃষ্টি করতেন না প্রভু, সর্ব শক্তিমান বিশ্ব বিধাতা।
চন্দ্র সূর্য আলো ও বাতাস অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন
কিছুই পেতিনা ধরাতে কভু, নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে এ হেন।
যাঁর অঙ্গুলী ইশারায় দ্বিখন্ডিত হয়েছে চন্দ্র, নভোচারী দেখেছে তাহা
চন্দ্র পৃষ্ঠে অবতরণ করে, সেই না চিহ্ন পেয়েছে আহা।
যাঁর আঙ্গুলী ইশারায়, ডুবন্ত সূর্য উদয় হয়েছে পুনঃ
আছরের নামাজ করেছেন আদায়, শের-এ-খোদা, সন্দেহ নাই তাতে কোনো।
তৌরাত যবুর ইঞ্জিল কিতাবে, যাঁর ঘোষণা হয়েছে বার বার
আখেরী জমানায় আসিবেন তিনি, সর্ব শ্রেষ্ঠ নবী রসুল হয়ে সবার।
যাঁর উপর নাজিল হয়েছে আসমানী কিতাব, ত্রিশ পারা আল্ কোরআন
আসমানী দূত জিবরাইল (আঃ) চব্বিশ হাজার বার, যাঁর কাছে হয়েছেন দন্ডায়মান।
যাঁর আগমনে মুছে গেছে যত, মানুষে মানুষে হানাহানি
মদ জুয়া যত দাস প্রথা ব্যাভিচার, মুছে গেছে সব গ্লানী।
মানুষে মানুষে সম অধিকার, দিয়েছেন যিনি এ ধরায়
নারীর মর্যাদা দিয়েছেন যিনি, তিনিইতো প্রিয় নবী বিশ্বের হায়।
মেয়ে শিশু যত জীবন্ত কবর দেয়া, বন্ধ হয়ে গেছে যাঁর ছোঁয়ায়
আরব অনারব ধনী গরীবের ব্যবধান মুছে, সমমান এসেছে এ ধরায়।
মানবতার এক অক্ষয় নজীর, ধরায় স্থাপন করলেন যিনি
আখেরী জমানার শ্রেষ্ঠ পয়গাম্বর, মুহাম্মদ (সঃ) তিনি।
যাঁর নূরে হোল বিশ্ব ব্রক্ষান্ড, উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত
বাড়ী গাড়ী আর রাজ প্রাসাদে ভরে, সুখ আহলাদে হোল পুলকিত।
মউতে কবরে হাশরে মিজানে পুলসিরাতে, যাঁর হবে প্রয়োজন
সুপারিশ ছাড়া পাবে না কেহ তাঁর, বেহেশতে করতে গমন।
সারা বিশ্বের সব মানুষের তরে, রহমত হয়ে এলেন যিনি ধরায়
তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ কার্টুন আঁকে, কোন্ পাপীষ্ট সে নরাধম হায়।
ছিলোনাকো যাঁর ছায়া ও কায়া, মেঘরাজি যাঁকে দিয়েছে ছায়া
আঠার হাজার সৃষ্টি যাঁর গুনগানে মুখরিত সদা, স্বয়ং আল্লাহ্ করেন মায়া।
কারো ধর্মে কেহ হানিতে আঘাত, দেয়নি অধিকার ইসলাম কভু
তাঁকে নিয়ে আঁকিস ব্যঙ্গ কার্টুন, কোন সে নরাধম পাপীষ্ট তবু?
বাক স্বাধীনতা কটুক্তির অধিকার, আসেনাতো কভু এখানে
আসমান জমিনের সৃষ্টির মূলে আছেন, নূরে মুহাম্মদ (সঃ) যেখানে।
হুঁশিয়ার যত উদ্ধত কার্টুনিষ্ট, লেখক বাক স্বাধীনতাধারী প্রবক্তা
বুঝে শুনে দিও স্বাধীনতার দোহাই, বলায় কওয়ায় লেখনীতে সৃষ্টি করোনা তিক্ততা।
মুসলিম কভু বিশ্বের কেহ দিবেনাকো রেহাই, ধরে নিবে তারা চরম বর্বরতা
ডেনমার্ক ডেনিস মার্কিন যেই হওনা কেন, করে যদি কেহ এহেন ধৃষ্টতা।

POET'S NOTES ABOUT THE POEM
(কুখ্যাত লেখক সাল্মান রুমদীর "স্যাটানিক ভার্সেস" এর তীব্র প্রতিবাদে রচিত)
COMMENTS OF THE POEM
READ THIS POEM IN OTHER LANGUAGES
Close
Error Success