মুর্হরমের দশ তারিখে, কি ঘটিলো ঘটনা
দু'চোখ ফেটে আসে অশ্র', প্রাণে যে আর সহেনা।।
কুফার পথে রওয়ানা হয়ে, পথ হারিয়ে কারবালায়
শাহাদাতের স্বাদ মেটাতে, কারবালা হয় ঠিকানা।।
জনমানব শূণ্য ময়দান, ফোরাত ঘিরে এজিদ শয়তান
গাছ পানির নাইরে দেখা, কারো সনে নাই জানা।।
নানাজানের ভবিষ্যৎ বাণী, ঘোড়া যেথা ডেবে যাবে এমনি
কারবালা তার নামটি হবে, ফিরে কেহ আর আসবেনা।।
আন্তরাতœা উঠলো কেঁপে, জীবন দিতে হবে সঁপে
তাঁরই ইচ্ছা পূর্ণ হবে, যা চাহিছেন রাব্বানা।।
আল্লাহর রাহে ধৈর্য্য ধরে, লড়তে হবে ইসলামের তরে
তাঁবু গাড়ার দিলেন নির্দেশ, দিলেন হোসেন স্বান্ত্বনা।।
জালেম যত পাপীষ্ঠ শয়তান, হাজার হাজার আজ দন্ডায়মান
লড়াই করে জীবন দিবো, মাথা নত করবো না।।
মর্দ্দে জঙ্গ শুরু হোলো, শিশু আজগর শহীদ হোলো
তাজা খুনে বুক ভেসে যায়, পানি নসীব হলোনা।।
পানি পানি করে সবার, বুক শুকিয়ে হলো জার জার
একটি ফোঁটা পানি হায়রে, দেয়নি এজিদ হায়ে না।।
কচি মেয়ে সকিনা, কেঁদে বলে চাচা যাওনা
বুকের ছাতি ফেটে গেলো, একটু পানি এনে দাওনা।।
চাচা আব্বাস মশক নিয়ে, হাজির হলেন ফোরাত গিয়ে
বিদ্যুৎ বেগে চল্লেন ছুটে, পানি খাবে সকিনা।।
এজিদের পা চাটা দুশমন, দিলোনাকো হতে আশা পূরণ
মশক হাতে শিবিরে হায়, পৌঁছাতে যে দিলোনা।।
শাহাদাতের সঞ্জিবণী, পান করিলেন আলী আব্বাস তখনি
ভাই আব্বাস ভাই আব্বাস বলে, হোসেন হলেন দেওয়ানা।।
স্বজন হারা ব্যাথা নিয়ে, দুলদুলে সোয়ার হয়ে
ছুটিলেন ইমাম হোসেন, রেহাই আর কেউ পাবে না।।
জুলফিকারের এক এক কোপে, দুশমন যত পড়লো লুটে
কতল করে চল্লেন হোসেন, জুলফিকার আর থামে না।।
নেজা আর বল্লমের ঘায়ে, ক্ষুধা তৃষ্ণায় কাতর হয়ে
ইমাম হোসেন গেলেন পড়ে, সীমার সুযোগ ছাড়ে না।।
ছুটে এসে বক্ষে চেপে, খঞ্জর চালায় ইমাম শিরে
দেহ থেকে শির ছিন্ন করার, নেচে ওঠে উম্মাদনা।।
লাশের পাহাড় জমে ওঠে, শোকাবহ কারবালায়
হায় হোসেন হায় হোসেন বলে, মাতম করে সর্বজনা।।
ইসলাম জীন্দা হোতা হায়, হার কারবালাকে বাদ
প্রমান করে গেলেন হোসেন, বিশ্ববাসীর নেই অজানা।।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem