কত ইয়ার্কি মারবে হে জীবন
কত ইয়ার্কি মারবে আর?
গামছার খুঁটে মুড়ি বেঁধে
বাঁড়ুজ্জে বাড়ির বড় বৌকে
কতদিন আর ফ্যালফ্যাল করে দেখবো?
কতদিন আর
ফুলে ফুলে ফেঁপে উঠা যৌবনকে
সংযমের মিথ্যে ফানুসে ঢাকবো?
অথচ তুমিও জানো-
বাঁড়ুজ্জে বাড়ির বড় ছেলের চেয়ে
কোন অংশে কম নই আমি।
আমারও রোমশ বুক আছে
বাহুতে মাংসল পেশী আছে
স্বপ্নে নিষিদ্ধ গোপন ইচ্ছে আছে।
আমিও পারি কেবল নখের আঁচড়ে
অতৃপ্ত নারীর তৃষ্ণা মেটাতে।
আমিও পারি কেবল ঊরুর আবেশে
নারী ঝর্ণায় স্রোত জাগাতে।
কি কপাল আমার হে জীবন
কি পোড়াকপাল আমার!
বাঁড়ুজ্জে বাড়ির বেয়াদপ ছেলের
উদ্ভিন্ন যৌবনা ঊর্বশী বৌ আছে
অথচ আমার কেউ নেই।
কেন নেই? আমি কি পুরুষ নই?
আমিও তো এম এ পাশ কালে
শেক্সপীয়ার নেরুদার পদ্য পড়ে
নিষিদ্ধ স্বপ্নের রাজপুত্তর হয়েছি।
আমিও তো ম্যাটিনি শোয়ে
তারিয়ে তারিয়ে
নীল নীল নিষিদ্ধ ছবি দেখেছি।
তৃষ্ণা নিবারণে
কারও নদী আছে, কারও সমুদ্র আছে
কারও চৌবাচ্চা আছে, কারও ঝর্ণা আছে।
অথচ আমার বেলায়
সবই মরীচিকা!
সবই সাহারার দুর্ভিক্ষ আর প্রতারণা!
ইয়ার্কি মারতে মারতে
পৃথিবীর সমস্ত ইয়ারবাজদের হারিয়ে দিলে তুমি।
অথচ মানুষ তোমাকে
মৃত্যুর থেকে বেশি ভালোবাসে!
এতো যন্ত্রণা দাও, এতো প্রতারণা করো
তবুও তুমি নাকি মৃত্যুর থেকে সুন্দর!
কেন হে জীবন কেন?
এতো যন্ত্রণা দিতে পারো
একমুঠো বিষ দিতে পারো না?
বাঁড়ুজ্জে বাড়ির বড় বৌ যদি
আমার শয্যা সঙ্গিনী হতো
তাহলে সূর্য কি লজ্জায় খসে পড়তো নাকি?
কতদিন তাকে দেখে দেখে
কালো কালো দীর্ঘশ্বাস ফেলবো?
কতদিন আর খোলা তলপেটে তার
নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ স্বপ্নের জাল বুনবো?
কতদিন আর বাঁড়ুজ্জের বড়ছেলের
অপঘাতে অকাল মৃত্যু চাইবো?
ওহে জীবন, ওহে আমার অতৃপ্তির সহোদর,
তুমি বাঁধাবে যুদ্ধ
আর আমাকে বলবে ঘাতক?
কত ইয়ার্কি মারবে হে জীবন
কত ইয়ার্কি মারবে আর?
© অরুণ মাজী
Painting: Amit Bhar
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
অনবদ্য।