ভাগ্যের ফুটো কপালে
দই চন্দন লেপে
পতঞ্জলি মার্কা ধূপ জ্বালালো পেন্তীর মা;
অথচ, ভাগ্যের ফুটো কপাল
গোটা কখনো হলো না।
ঘড়ির কাঁটাকে সাক্ষী রেখে
আজ সাতষট্টি দিন সতেরো ঘন্টা হলো;
মালবিকা তবু এলো না।
পুরুষ বুকেও যে ভালোবাসা আছে
একমাত্র একাকীত্ব ছাড়া
কেউ কখনো বুঝলো না।
নারী কণ্ঠের গঞ্জনা ছাড়া
পুরুষ বুক যে কতটা ফঙ ফঙ করে
পুরুষ হৃৎপিণ্ডের অর্দ্ধমৃত স্পন্দন ছাড়া
কেউ কখনো বুঝলো না।
অথচ আমার দেওয়ালের মুখপোড়া টিকটিকি,
নেশাগ্রস্ত বটুমাতালের মতো
ঘাড় নেড়ে কতো আশ্বস্ত করলো আমায়!
"ফিরবে। মালবিকা ফিরবে।
ভালোবাসতে না ফিরুক,
অন্তত গঞ্জনা দিতে
মালবিকা ফিরবেই ফিরবে।"
মালবিকা তবু ফিরলো না।
হেমন্তের শিশিরের মতো
নিঃশব্দে ঝরলো দুঃখ।
তবুও, একটু গঞ্জনা দিতে
মালবিকা আমার এলো না।
ওগো শুনছো তোমরা?
ভালোবাসতে না ফিরুক,
একটু অন্তত গঞ্জনা দিতে
মালবিকা এখনো এলো না।
নারী কণ্ঠের গঞ্জনা ছাড়া
পুরুষ বুক যে কতটা ফঙ ফঙ করে
বিছানার পাশ বালিশ ছাড়া
কেউ কখনো বুঝলো না।
ওহে পেন্তীর মা, তুমিই বলো না-
মালবিকার একারই কি বাপের বাড়ি আছে?
তোমার নেই?
তোমার বাপের তো
ইয়া বড় এক তাল পুকুরও আছে!
তবুও, তুমি কি কখনো
পেন্তীর বাপকে ছেড়ে
তিনরাত কাটিয়েছো কোথাও?
ভাগ্যের ফুটো কপালে
ফুঁ দিয়ে
তেষট্টি বার টিটকিরি করে গেলো ফাজিল বাতাস।
মালবিকা তবু এলো না।
অমলের ফাটা বুকে
চড়াম চড়াম করে
দুঃখের ঢাক বাজিয়ে গেলো দুর্ভাগ্য।
মালবিকা তবু এলো না।
ওগো ঈশ্বর
মালবিকা তবু এলো না।
© অরুণ মাজী
Painting: John William Godward
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
সুন্দর