সেদিন হয়তো
বারান্দায় বসে, আনমনে
পূব আকাশে চেয়ে তুমি।
রান্নাঘর থেকে
কাজের মেয়ে চীৎকার করে বলবে-
"কই গো বৌদি,
ভাত জুড়িয়ে যে জল হয়ে গেলো!
এক ঘন্টা ধরে ডাকছি
তবুও তোমার কানে ঢোকে না! "
আঁচলের ডগায়
চোখের জল শুষে
আলস্যে শরীরটা টানতে টানতে
অনিচ্ছা সত্বেও খেতে বসবে তুমি।
নাহঃ
খাওয়া তোমার হবে না।
বুকে তোমার ঝড় উঠবে
চোখে বন্যা আসবে।
দু ফোঁটা চোখের জল
ডাল মাখা ভাতে গড়িয়ে পড়বে।
কোথায় যেন এক শূণ্যতা!
এতো বড় বাড়ি, এতো গাড়ি
এতো প্রতিপত্তিযুক্ত স্বামী।
তবুও বুকে
ভীষণ এক শূণ্যতা।
কাজের মেয়ের সামনেই
নিজের অজান্তে
বলে উঠবে তুমি
"অমল, অমল তুমি কোথায়?
অমল সেদিন কোথায় মালবিকা?
কে জানে?
হয়তো গাল ভরা নোংরা দাড়ি নিয়ে
কৌপিন পরা অর্দ্ধনগ্ন সন্ন্যাসী সেজে
অমল সেদিন
গুহায় গুহায় কিছু একটা খুঁজছে।
কি খুঁজছে সে? কাকে খুঁজছে সে?
ঈশ্বর? মোক্ষ? শান্তি? অথবা মালবিকা?
কি খুঁজছে সে?
হয়তো বা অমল সেদিন
এ জগতে নেই।
মদ খেয়ে
লিভারের কঠিন অসুখে ভুগতে ভুগতে
একদিন সে মারা গেছে।
হয়তো বা
অমল সেদিন বেশ আছে।
খাসা সুন্দরী একটা বৌ
ফুটফুটে ছোট্ট একটা বাচ্চা
দশটা পাঁচটার একটা স্কুল মাস্টারি।
অমল সেদিন কোথায় মালবিকা?
কোথায়?
দূরে। অনেক দূরে। তাই না?
সে আজ কেন দূরে?
কারন- আজ
তাকে তাড়িয়ে দিচ্ছো তুমি।
কেন তাড়িয়ে দিচ্ছো? কেন?
আমি ক্যাবলা বলে?
কালো বলে? বেঁটে বলে? তোতলা বলে?
কেন? কেন তাড়িয়ে দিচ্ছো?
জানো না।
তুমি সত্যিই জানো না মালবিকা?
তুমি সত্যিই কি জানো না?
বেশ, তাড়িয়ে দিচ্ছো দাও।
কিন্তু কথা দাও-
আমার জন্য কখনো
চোখের জল ফেলবে না তুমি।
© অরুণ মাজী
Painting: JWG
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
Very nice Sir
bhalo thakun. kind regards