ডাকবাক্স চিনে ওঠার আগেই ডাকঘর উড়ে গেল শনিপৃথিবীর দিকে; চিঠি লেখার অভ্যাসটা হতে পারলো না আর। যাকে ভেবে, চিঠির স্বপ্ন গাঢ় হচ্ছিলো রক্তের লাল ঘরে, সেই কিশোরীর মেয়ে দুটোও বিয়ের পিঁড়িতে বসবে বসবে দিনে পৌঁছে গেল দ্রুত। আর ওই বুকনি গাছটার বয়স যে কতো হলো! এ তল্লাটের বুড়োবুড়িরাও বলতে পারে না। লোহার তার দিয়ে এগাছেই বাঁধা ছিলো একটা কাঠের বাক্স। এর তলা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতেই তো ফুরিয়ে গেল গোটা একটা জীবন! কী আশ্চর্য! এতোকাল চিনতেই পারিনি! আজ এতোগুলো বছর পর, সেই কাঠের বাক্সটা পঁচে খ'সে পড়তেই, জানা গেল, আরে! এটাই তো সেই ডাকবাক্স!
হলে কী হবে? ডাকঘরই তো উড়ে গেল আসমানের দিকে! কোনওদিন দেশে ফিরলে, তুই কিন্ত একবারের জন্য হলেও, বসবি ওই বুকনিতলায়! আমার অনেক দিনের শখ, একটা চিঠি লিখে, ধরিয়ে দেবো তোর হাতে। অপেক্ষায় থাকতে থাকতে বুকনি গাছটাও বুড়িয়ে যাচ্ছে...
বল, আসবি তো!
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem