সমগ্র শৈশব জুড়ে এক প্রজাতির ধানের গল্প ছিলো, রহস্যময়; হয়তো রূপকথাই বলা যায় তাকে; সেই ধান চাক্ষুষে দেখেছি। কালো কিশকিশে কিন্তু মুখের দিকটায় অনেকটা সদ্যফোটা পাখিছানার ঠোঁটের আকৃতি শাদা রেখা টানা থাকতো একজোড়া। পঙ্ক্ষিরাজ ধান। পেকে ওঠার পর, ওরা নাকি উড়ে যেতে পারতো। যে-গৃহস্থ্যের ক্ষেত ফেলে উড়ে যেতো, তার সংসার জুড়ে নেমে আসতো অনন্ত অন্ধকার ঋতু। মাঠে-বিলে, সেই ধান আর নেই, গল্পগুলোও নয়। গ্রামে বা শহরে, শৈশবকাতর কোনও অশীতিপর বৃদ্ধের মুখেও আর শুনতে পাই না সেইসব ধানের উপাখ্যান। শুনেছি, উপমার অনেক অনেক ব্যাকরণ থাকে; থাকলে থাকুক, অতশত মেনে চলা আমার স্বভাবে নেই। আজ এতোগুলো বছর পর, কেন জানি না, তোমাকেই আমার পঙ্ক্ষিরাজ ধান মনে হয়।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem