মা, ভোর কি?
লাশের পর লাশ
লাল রক্তের হোলি
নিষ্ঠুর ক্রুর হাসিতে ফেটে পড়া
অত্যাচারীর সামনে আনত
বাঘের নখ হারিয়ে গেছে
ভোর কি?
জলভরা তাল শাঁসের বিচিত্র স্বাদের জল
ভোরবেলায় পাওয়া যায়?
শিশুগাছের সদ্য গজানো পাতায়
আধ আলো ছায়ার লুকোচুরি
ডোবার ওপরে ঝুলে থাকা
বাবলাগাছ, যার পাতাগুলো বড় মিষ্টি
সাদা গিরিরাজ পায়রাটা, যাকে কে যেন
গোলাপী রঙ্গে রাঙিয়ে দিয়েছিল
মা, সেই পাগলাটা
যার একটা হাত সবসময়
কান জড়িয়ে রাখত
আর খড়ে ছাওয়া আটচালা
যেটা দেখলে বুঝতাম
আমরা নানাদের বাড়ি পৌছে গেছি
আর সেই, সেই.....
যার লাজরাঙ্গা মুখটি আমার মনে পড়ে না
যে আমার কাজলা দিদি হতে চেয়েছিল
মা, কতগুলো ভোর চাই
একুশের ভোর, স্বাধীনতার ভোর
সব ভোরের শেষে ভোরাই
সবকিছুই তো হয়েছে
তবে ভীতু খরগোসের মত
এ কিসের অস্থিরতা
সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে?
আমি লালনের জাত জানতে চাই না
কিন্তু মা, শাপলা ফুলে ফাঁসির রক্ত কেন
তোমার ছেলের রক্ত
রক্ত দিয়ে ভোরের সূর্যোদয়?
তবে সবাই হৃৎপিন্ড চিরে
রক্তে রাঙিয়ে দেব সোনার ধানক্ষেত
ভোর এনে দেব
সেই ভোরে কোনো ভোরাই হবে না.....
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
khub ee bhalo lekha haye chhe