গতকাল রাতে আমার ঘরে এসেছিল এক দৈত্য কিম্ভূত কিমাকার
ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে ঘরটা হয়ে গেল কালো আধাঁর।
ভয় পেয়ে মানুষ জন সব গেল পালিয়ে
কেউ লাগাল দৌড়, কেউ দিল লাফ, কেউ বা থাকল লুকিয়ে।।
তাই না দেখে দৈত্যি মশায়ের রাগ হল ভারি।
নাক ফুলিয়ে গোঁফ পাকিয়ে করতে লাগল ঘনঘন পায়চারি।।
অদূরে দাঁড়িয়ে একটি নিষ্পাপ শিশু হাসছিল মিটিমিটি মুখখানি উজ্জ্বল।
দেখে তাকে দৈত্যমশায়ের রাগ হয়ে গেল একেবারে জল।।
‘আমি ব্রাড, তুমি কেন এত দুঃখিত’ শান্তস্বরে শিশুটি বলল।
সোজা করে ঘাড় দৈত্য তো তার কথা মন দিয়ে শুনল।।
ভয় পেয়ে ওরা পালিয়ে গেল, আমি তো চাই বন্ধুত্ব চাইনা সংঘাত।
আমার তো ইচ্ছে ছিল বাড়িয়ে দেব সাহায্যের হাত।।
‘কিন্তু সুন্দর নয় আমি, ভয় পায় সবাই’ বলে ফেলল এক দীর্ঘশ্বাস।
শিশুটি বলল তখন ‘আমার আছে তোমার প্রতি বিশ্বাস’।।
কৃতজ্ঞতায় দৈত্যের চোখে এল জল।
সান্তনা দিল শিশুটি’কেঁদ না তুমি। অন্তরে সুন্দর তুমি, মনে রাখ বল’।।
‘তোমার মতো স্মার্ট হতো যদি সবাই।
সমৃদ্ধ হতো জাতি এতে কোনো সন্দেহ নাই।।
আড়ালে দাঁড়িয়ে লোকেরা দৈত্যের সব কথা শুনল।
নির্ভয়ে সকলে তখন দৈত্যর সামনে হাজির হল।
‘দুঃখিত আমরা এস এখন থেকে আমরা বন্ধু হই’
খুশী হয়ে দৈত্য বলল ‘সেই ভাল মিলেমিশে করবো কাজ, খেলবো তবে আমরা সবাই’।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ