রেজা ঘটক
অবশেষে ঈশ্বর গড়িলেন কিংবা নারীকে একটু ভরৎসনা
হে নশ্বর পৃথিবী, কান যদি থাকে শোনো-
আমি আর কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না;
নষ্টদের দখলে এখানে সবকিছু গোলমাল হয়ে গেছে।
পূর্ব-পুরুষদের আত্মার কসম খেয়ে বলছি-
নারী চিরকালই ছলনাময়ী এক অদ্ভুত জীব
শিরদাঁড়ায় পচন না ধরা পর্যন্ত প্রতারণায় ওরা ক্ষান্ত হয় না।
‘জাতস্য হি ধ্রুবো, মৃত্যু ধ্রুবং জন্ম মৃতস্য চ’
অথচ, কৈবল্যধামে ধ্যানমগ্ন ঋষির কর্তব্যে
নারী আজো একমাত্র প্রতিবন্ধক।
শূন্যালোকে দৃষ্টি মেলে দ্যাখো-
আহ্নিক গতি, সেও পরিবর্তনশীল;
বাট, নারীকে যুদ্ধ করেও পাল্টানো যায় না
যুদ্ধের জন্য শান্তি, নাকি শান্তির জন্য যুদ্ধ?
কোনোদিন নারী তা বুঝলো না।
গ্লোবাল ওয়ার্নিং কী বলে-
তাপমাত্রা যতোই বাড়িবে, ততোই অশনিসংকেত।
পৃথিবী পৃষ্ঠ ডুবে যাবার আগে-
চলো, সব্বাই মিলে নারীকে একবার ভর্ৎসনা করি।
নারী সর্বেস্ব গ্লানি, নারী পাপিষ্ঠা দাহ
ওঁম শান্তি, ওঁম শান্তি, ওঁম শান্তি
জরায়ু বেষ্টিত রাহু ।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem