ক্ষুদিরাম বলছি আমি।
হ্যাঁ হ্যাঁ। মৃত ক্ষুদিরাম বলছি আমি।
লুপ্ত শ্মশানের হারানো দীর্ঘশ্বাস থেকে
একবার
অন্তত একবার ফিরতে চাই আমি।
হে ঈশ্বর, এই মৃত ক্ষুদিরামকে একবার
অন্তত একবার করুণা করো তুমি।
অতৃপ্ত রক্তের অসমাপ্ত স্বপ্ন থেকে
অন্তত একবার ফিরতে চাই আমি।
কেন জানো? কেন জানো ওহে
বর্তমান বাংলার বিকলাঙ্গ সন্তান?
তোমাদের মুখে থুতু ছিটাবো বলে।
তোমাদের লোভে ঢাকা পান্ডিত্যে
থুতু ছিটাবো বলে।
তোমাদের স্বার্থ ঢাকা বুদ্ধিতে
থুতু ছিটাবো বলে।
তোমাদের হিংসা মাখা রক্তে
থুতু ছিটাবো বলে।
পূজা করা তো দূরের কথা
আমাকে স্পর্শ পর্য্যন্ত করো না।
হে কুলাঙ্গার কৃশ অথর্ব বঙ্গ সন্তান
আমাকে স্পর্শ পর্য্যন্ত করো না।
তোমাদের নপুংসকতার লজ্জা ঢাকতে
স্পর্শ আমাকে করো না।
ঘৃণা হয় হে কৃমি কেঁচো ক্লীবের দল
তোমাদেরকে ঘৃণা হয় আমার।
হীন শ্বাপদ শেয়ালের মতো
মূত্র আর বিষ্ঠা চাঁটো যে মুখে
সেই দুর্গন্ধযুক্ত মুখে
স্মরণ আমাকে করো না।
পলাশীর যুদ্ধ থেকে স্বাধীনতা পর্য্যন্ত
মৃত শহীদ সমূহের
সমবেত কণ্ঠের প্রতিনিধি ক্ষুদিরাম বলছি আমি-
অজ্ঞাত ইতিহাসের আর্তনাদ থেকে
একবার
অন্তত একবার ফিরতে চাই আমি।
কেন জানো? কেন জানো ওহে
চরিত্রহীন শ্বাপদ শিশুর দল?
তোমাদের মুখোশপরা,
পাউডার মাখা মুখগুলোকে মাটিতে এঁকে,
কৃমি আর কেঁচো দিয়ে
মলত্যাগ করাতে চাই আমি।
মৃত ক্ষুদিরাম বলছি আমি,
তোমাদরেকে ঘৃণা করি আমি।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem