হায়! আমার জন্ম
ঘৃণ্য শৃঙ্খলে বাঁধা
সকল আশির্বাদ থেকে বঞ্চিত
কষ্ট শ্রম আর অসহ্য যন্ত্রনার মাঝে।
আর কতদিন এভাবে বাঁধা থাকবো
মুক্ত হবার আশায় থেকে হতাশ হবো।
এখনো আমি অভিযোগ করবো
স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হবার জন্য।
ভগবান এর থেকে কি নিস্তার পাবো না
এই নীরব গহ্বর থেকে
যন্ত্রনার উপশম, -কষ্ট হ্রাসের,
আর এক দাসের হতাশা থেকে
এসো স্বাধীনতা, তুমি এক উল্লসিত শব্দ
আমার এই বিকট কানে গুন গুন করো
এসো আমার দুঃখকে আনন্দে ভাসিয়ে দাও।
আর আমার ভয় দূর করে দাও।
জঘন্য নিপীরণ থেকে ক্ষান্ত হতে বল
স্বেচ্ছাচারী ক্রোধ আর নয়
আনন্দের ভেরী বাজাতে দাও
এখন দাসেদের খুশীর ডাক দাও।
পায়রার ডানার ঝাপটার আওয়াজ
যা অনেকদিন ধরে তোমার জন্য কু..কু..করে ডেকে আসছে।
যার সুর আফ্রিকার জঙ্গল থেকে ভেসে আসছে।
স্বাধীনতার আওয়াজ।।
ওগো স্বাধীনতা, তুমিতো স্বর্ণালী উপহার
মাঝে মাঝেই রক্ত খোঁজে
আমরা তোমার কাছে আকুল প্রার্থনা করছি তোমার পবিত্র সূর্যকে
যা এই প্রকৃতির ঈশ্বরের দান।
দাসত্বের উদভ্রান্ত লুকোনো মুখ প্রকাশ করো
বর্বরতাকে উড়িয়ে দাও।
দুঃখিত মুখকে আমি ঘৃণা করি
যার মাঝে আমি দাস হয়ে আছি।
প্রিয় স্বাধীনতা তোমার বুকের মাঝে
অবসন্ন আমি শ্বাস নিতে চাই
হাঁসের মতো বাসায় ফিরতে চাই
তোমার হাসির মাঝে আমি অবসর নেব
ওগো মহিমান্বিত আধার স্বর্গীয় যন্ত্রনানাশক
তোমার ঝোপে আমি উড়বো
তোমার ছায়াতে ঝঙ্ঝাও শান্ত হয়
স্বাধীনতার গানে ছন্দে।