সেই শ্যামলতা আজও ফুরায়নি মনের পাতা থেকে;
বহু বছর কেটে গেছে তারপর জীবনের বায়বীয় দিনে,
সেই সবুজ ধানক্ষেত, কচিকলা পাতা মোড়া বাগান-
আজও স্মৃতির স্পষ্ট কোনে যেন দৃশ্যমান,
রাত্রি জাগলেই মনে পড়ে সব,
আর দুপুর হলে তো সমস্তটাই স্ফটিক;
ঘুরঘুর করে চলতাম ক্ষেতের আল বেয়ে,
কখনও পা-পিছলে যাওয়া,
কখনও বা একটু ধীরে হাটার অভিজ্ঞতা
অর্জন করতাম, -
চাষীরা ধানক্ষেতে ব্যস্তদিনে অধিকন্তু ব্যস্ত ছিল
মেঠো গবাদি পশুরা দাঁড়িয়ে,
যেন, ঘাসেরা চির-অমৃত স্বাদ আস্বাদনে নিমগ্ন।
দুর্জয় সেই দিনগুলি মনের কোনে উজ্জ্বলিত,
আজও।
ঘুড়ির লাটাই যখন হাতেছিল এর'ই মাঝে
তখন, লাল ঘুড়িটি বহুদূরে উড়িয়েছিলাম
আকাশে, নীল সীমাহীন দিশায়,
আকাঙ্খার দৃপ্ত শিখায় প্রজ্জ্বলিত ছিল সেই
ঘুড়ির মেরুদন্ড, তাই কাটেনি কখনও,
এবং খুঁজতে হয়নি তাকে দূর সীমানায়।
যেন আমি আপন কক্ষেই বাঁধা ছিলাম-
যেমন আছি এখনও,
চির বসন্তের দিনের মত আজও আমি টাটকা,
স্মৃতির মোড়কে সবই সুরক্ষিত,
শুধু বাকি আছে আবার সেই দিনগুলিতে
ফিরে যাওয়া, কিন্তু তা কি হবে?
এমন প্রশ্ন নিয়েই বেঁচে আছি বয়সের
নির্লিপ্ত, পরিমেয় কাঠিতে;
কি জানি মন বেচারা কবে দোহাই জানাবে।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem