বাকদানো
তোদের তো বলিছিলুম বাবা কিন্তু তোরা গা কল্লিনে
তবলা-বাজিয়ের কানে আওয়াজের আগেই য-ভাবে বোল ফোটে
অ্যাগবারে তেমনিই য-দিকে মাথা করে শুই সে-দিকেই কেন সূয্যি ওঠে জানিনা
আমাদের যুধিষ্ঠির, সেই যে, পাশাখেলার গ্র্যাণ্ডমাস্টার
বেতলা ফরেস্টে দ্রোণাচার্যের সেমিনারে অর্জুনকে ধাতানি দিয়েছিল
'পা নাচিয়ে কক্ষুনো নাচবিনে, সব্বোদা বাতাস নাড়িয়ে নাচবি'
তোদের ওদিকটায় তো সভ্যতা মানেই শহর, কী, ঠিক বলিচি না?
জ্বরের ঘোরে-বলা প্রলাপগুলো খানিক পরেই দেখবি তথ্য হয়ে গেচে- -
কাব্যি করে বলতে হয়, 'ওগো এ যে গোঁজবঙ্গের পালতোলা শামুক ভাসিয়েচো'
যখুন দুঃখকষ্ট চেপে যেতে শেখার বয়েসে পৌঁছোলুম, অ্যাঁ
ঘুমন্ত অবস্হায় যে-পাখিটা বিপদে পড়েচে তার মাঝরাতের ডাকে
দেহের বিতর্কিত জায়গায় হাত দিয়ে ফেলার ভয়ে আমি তো থরহরি
বিড়ির শেস-ফুঁকের আয়েস টেনে মেয়েটি যখুন পোনয় নিবেদন কল্লে
একাধটা অঠ্গকে বিশ্বেস করা মুশকিল হয়ে পড়েছিল রে
তা, সবাই তো আর সবায়ের ব্যথার গন্ধ টের পায় না
এ-বাড়ির ঘড়িগুলোকে দ্যাখ, বড্ড অধীর, সবুর করতে পারে না;
কী করি? আমি তো পাহাড় থেকে ঝাঁপ-দেয়া ঝর্ণার ফূর্তি দুমুঠোয় পুরে
মৌমাছিদের রানিটাকে নিয়ে বরযাত্রীদের সঠ্গে চুপচাপ কেটে পড়লুম...
১১ আগস্ট ২০০০
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem