পৃথিবী
মেয়েটির নাম ছিল নদী,
নদী আবার কারো নাম হয় নাকি!
খিলখিলিয়ে হেসে উঠে বলে,
আমার কৈশোর পেরিয়ে যায় নদীর মতো,
তরঙ্গে দেহ মন খুলে যায় ভালোবাসায়,
আমি নদী হতে চাই ।
মেয়েটির নাম ছিল সমুদ্র,
মেয়ের নাম কি সমুদ্র হতে পারে নাকি! খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে সে,
আমি তো সমুদ্রই হতে চাই
যেখানে নদী এসে মেশে নীল ঢেউয়ে
গভীর গহন অতলে স্নান সারা যায়।
মেয়েটির নাম ছিল আকাশ ।
আকাশ কোনও মেয়ের নাম হয় নাকি!
মেয়েটি বলে, আমি তো আকাশই হতে চাই, যেখানে নীলিমায় নীল মিশে যায় সমুদ্রে,
আমার মায়া - আমার প্রেম।
মেয়েটির নাম ছিল আলো ।
আলো কি কোন মেয়ের নাম হতে পারে?
রোদ্দুর তার রঙ ধরে রাখে
চকচকে উজ্জ্বল হাসিতে ।
মেয়েটি বলে, আমিতো আলোই হতে চাই,
যেখানে সবগুলো মুখ স্পষ্ট হয়ে যায়।
মেয়েটির নাম ছিল হাওয়া।
হাওয়া কোন মেয়ের নাম হতে পারে নাকি?
খিলখিলিয়ে ওঠে সে,
আমি তো হাওয়াই হতে চাই ।
আসলে এ পৃথিবীতে সে তার যৌবন ফিরে পেতে চায়,
এই পৃথিবীর মাটি জল মায়া,
একমুঠো ধান,
উড়ে যেতে চায় পাখির মত,
গর্ভ যন্ত্রণার মত সেই মেয়েটি কষ্টে
নদীর মত প্রবাহিত হয়
অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে চায়
আবার আলো হাওয়ার তরঙ্গে মিশে যেতে পারে।
মেয়েটির নাম আসলে পৃথিবী।
---------------------------
© সঞ্জীব সাহা
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem