হে সময়
সবটুকু ভালবাসা নিয়ে
মানুষ চলে অস্তাচলে,
কেউ কেউ তারই মাঝে
বৈভব ছড়িয়ে বলে —
এই দেখো আমার আকাশ,
ঐ আকাশের গায়
আঁক কষতে কষতে
কত মুখ ফুটে ওঠে,
সে মুখের প্রতিটি রেখায়
উন্মোচিত হয় এক
অদ্ভুত আলো,
যে আলোয় ক্রমশ
স্পষ্ট হতে থাকে
আর এক প্রত্যয়ী মুখ।
আমার সমস্ত সুখ
গঙ্গা ধুয়ে নিয়ে গেলে,
প্রকৃতি বলে ওঠে—
তুমি যোগ্য হয়ে উঠলে
হে সময়!
- - - - - - - - - -
© সঞ্জীব সাহা
6.
হে সময় - ২
মুহূর্তে পেরিয়ে আসো
সহস্র জীবন পার,
এই আলো অনন্ত সূর্য হয়ে
ফিরে আসে বারবার,
তোমার চৌহদ্দি ভেঙে যায়,
অহম ব্রম্ম অস্মি —
আমার আত্মার স্ফুরণ
ঘটেছিল প্রথম যেদিন
এই নিমজ্জিত পৃথিবীতে,
এ ব্রম্মান্ড হাত তুলে
আশীর্বাদ করেছিল
প্রাণবন্ত পৃথিবীর আত্মায়,
সেই থেকে প্রবহমান
আজও জীবন— প্রবাহিত
আমার তোমার আত্মা,
এ প্রেম
গাছ পাখি পতঙ্গ ছুঁয়ে
ফিরে আসে তোমার সত্তায়,
শিশুসুখ প্রাণ পেয়ে
উচ্ছলতায় হাসে,
অথচ আজকের সায়াহ্ন
কোন বিহ্বলতায় দূষিত
ছুরি তুলে নেয় হাতে,
দ্বেষ - হিংসা -যুদ্ধ
মারাত্মক মারণাস্ত্র
শানায় শৈশবে —
প্রজন্ম পৃথিবীর পাশে
দাঁড়িয়ে শুধু বলে,
আমি আছি আজও
তোমার পাশে,
এ জন্ম প্রবাহিত প্রাণ,
তাকে দ্বিখন্ডিত করে
কে তুলে নিতে পারে
হে সময়!
- - - - - - - - - -
© সঞ্জীব সাহা
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem