দিগন্তের দেশ হতে উড়ে আসা পাখিদের দেখেছি
কিভাবে সময়ের স্রোতেবয়ে যায় প্রাণ
আর কলহাস্যে দাঁড়ায় আমার বিগত জন্মের আত্মীয়রা
মুহূর্তে পথের ধূলোর সুদীর্ঘ শ্বাস
উড়ে যায় অরুণাভ সন্ধ্যার আকাশে;
আবছা আঁধারে সেই সব আত্মীয়রা
দীর্ঘ উপেক্ষার কথা বলে যায় নিজ মনে
উড়ন্ত হওয়ায় তাদের আদিম কলস্বর ভাসে
অরণ্য ভূমির জনপদ ছুঁয়ে হিমালয়ের বিস্তৃত বহু
যোজন বনের পথ পরিক্রম শেষ হলে বুঝেছি
তোমার আমার জন্মের কথা
লিখা আছে পাহাড়েরশানুদেশে
হয়তো বা সিন্ধু যমুনার তটে
আলো ও ছায়ার দদুল্য বিশ্বাস আমাদের মনকে অস্থির করে
নিয়ে যায় জন্মের সুতীব্র ইতিহাসে
কৃত্তিকা নক্ষত্রে পূর্ণিমা রাত্রিতে
নদীজলে রাত্রি শেষের জ্যোৎস্নাতে
আমার অম্লান প্রতিবিম্ব জেগে থেকে
শুনেছে তাদের গোপন অশ্রুর ভাষা
অতীতের অস্ফুট ব্যথিত ধ্বনির
কম্পিত বাতাসেকাতর প্রার্থনার সুর
বুকের গভীর দেশে বাজে;
যন্ত্রণার এমন মধুর করুন সংগীত
নিয়ে যায় প্রাগৈতিহাসিক গুহা মানবীর
স্থির রাত্রির মনের নির্জন সমীপে
বেদনার অনুভবে শূন্য গর্ভের তৃষ্ণার করতলে
জন্মেছে নতুন কল্পবৃক্ষ
অশ্রু কণার গোপন রসে সে বৃক্ষ সমৃদ্ধ হয়
তারপর একদিন-
বিগত বাসনা গুলি জেগেছিলো বিস্মৃত রক্তের শিথিল অন্তরে
বাতাসে মুদ্রিত দুঃখ গুলি
পাহাড়ের শানুদেশে -সভ্যতার নদীতটে সন্তানের
জন্ম দিয়ে পূর্ণ করে নিজেকে;
কঠিন প্রাকৃত প্রবাহে
তারপর—
পশ্চিমের সূর্যাস্তে আবার
গভীর নিদ্রার দেশ হতে দেখে
পৃথিবীর মাটির প্রান্তরে নিজস্ব রক্তের খেলা
সেইসব আত্মীয়রাআত্মজেরা শান্ত চেতনার
তীব্র অনুভূতির প্রদেশে নিমেষে মিলিয়ে
যেতে চেয়েছিলো নিঃসঙ্গের
চিরন্তন অবসাদ ভোগ ক'রে
বনভূমির ভেতরে
এইভাবে আসে যায় মঞ্জুরী
প্রাণের জন্ম ও মৃত্যুতে
ডানার রঙিন পালক
ভাসিয়ে এই স্বেচ্ছাচারীর জীবন
চলে যায় সুদূরের স্বপ্নপুরে
পৃথিবীর স্নিগ্ধ বেদনার ধূলো ঘ্রাণ ভালোবেসে
পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘের ভিতর
নরম পাতার বিস্তারে
নিজেকে খুঁজে পাই
শিহরন জাগে; রূপালী কৃত্তিকা নক্ষত্রের পূর্ণিমা রাত্রিতে
শালিনীর নদীজলে স্নান সেরে
গোধূলি চৈত্রের শালবনের
স্নেহের গন্ধে ফিরে ফিরে এসে
সুস্থির হয়েছি জন্মের সুতীব্র ইতিহাসে
জোৎস্না প্লাবিত আমার দেহ
গোধূলি আলোর মাটির বাতাসে
প্রাণের ঘনিষ্ট গন্ধ ছড়ায় স্নেহের সকল হৃদয় ছুঁয়ে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem