মহুয়ার দেশে শুয়ে আছি
মুরি নদীর সন্ধ্যার জল
বুকে ভাসে
কঠিন পাথুরে রুক্ষ এ ভূমি আমার…
এখানে জীবন
শ্রাবণের মেঘের আড়ালে
বিদ্যুৎ লতার মতো খেলে
দলমার ভূমিতল, চান্ডিলে
সুবর্ণরেখা আগ্নেয়
শিলার খণ্ড ভেঙে
ছুটেছে দুরন্ত বেগে
শিশুরা নিজস্ব বনভূমি গড়েছে
সোনালী রোদ্দুরের বুকে
কোন অপেক্ষার
প্রতীক্ষা ছিলনা কোনদিন
প্রাণ ফুলের স্ফুরনে
হৃদয়ের ছোট্ট কোষে
অনাবিল টেরাকোটা ফুটে ওঠে
এই পাহাড়ি ঝর্নার দেশে
পথের দু'ধারে
বুনো ফুল ও ফসলে
আমাদের ব্যার্থতারা
অনেক প্রগাঢ়
অভিজ্ঞতা নিয়ে
জীবনের স্বাদে
জেগে আছে
মহাসময়ের নক্ষত্রের
পাথরের এই ভূমি
একান্ত ব্যাথার দিনে
ভালোবেসেছে আমাকে
আত্মজের মতো
ভাঙা অন্ধকারে
ভিতরের রাজবাড়ি
ধূ ধূ করে
অতীতের ঘনীভূত কণ্ঠস্বর
ব্যক্তিগত দুঃখ গুলি স্পর্শ করে
মাথার শিয়রে বসে
সত্যের গভীরতর ইতিহাস
শুনিয়েছে আদিম পৌষের
শীতের অনেক রাতে
সেইসব গল্প
আমাকে সমৃদ্ধ করে
হৃদয়ের নাড়ি কাঁপে
পৃথিবীর দুর্দিনের গানে
অন্ধকার গুহা চিত্র
আমাদের বিচলিত করে
ভিতরে ভাঙন ধরা
ছন্নছাড়া রাজবাড়ির
আত্মার কথা
মহুয়ার দেশে ভাসে
আমি ফিরে যাবো মানুষের কাছে
সূর্যাস্তে প্রখর জ্যোৎস্নার রাত্রিতে
স্মৃতির সমূহ বীজ গুলি
মুরি নদীর বিশুষ্ক নুড়ি কাঁকর বিছানো
ব্যাথার পাথুরে তটে
ছড়াবো একাই
নির্বাসনে রেখোনা আমাকে...
আদিবাসী গ্রামের অজ্ঞাত বেদনা স্মৃতির ভেতর
নিগূঢ় স্নায়ু গ্রন্থি গুলি রক্ত স্রোতের
জীবন ভালোবেসে; একদিন প্রান্তিক
শালিনী নদীতটে দেখেছিল সিন্ধুর
বিস্তীর্ণ সমভূমি
তারা বারবার
ফিরে যেতে চেয়েছিল
মানুষের কাছে
নির্বাসনে রেখোনা আমাকে
অনাবিল টেরাকোটা
ফুটেছে বিচিত্র চিত্রের মতন
হৃদয়ের সকল প্রকোষ্ঠে
বিচ্ছিন্নের যন্ত্রণা পিড়িত ক'রে…
আমি ফিরে যাবো
মানুষের কাছে
বনভূমির আদিম শিশুদের হাতে
গিঁথে দেবো প্রানফুল
আমাকে দিওনা দুঃখ
বিস্তৃত প্রাণের খেলা এই সন্ধ্যায় খেলবো
আমি ফিরে যাবো গুহা মানবের কাছে
পিড়িতের দুঃখে পুড়ে যেতে চাই
চেতনার জন্ম দিতে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem