অঘ্রান কন্যার হাত ধরে আমি হেঁটে যাই আলপথে
ফসলের ভরা ক্ষেত ঘুমিয়ে পড়েছে আত্মগর্বি জ্যোৎস্না রাতে
আমার নাইবা হলো দূরের পৃথিবী দেখা
দুঃখের গহন রাতে নিজেকে খুঁজেছি
পৌষের আঁধারে পোয়াতি ধানের গর্ভে
কখনো বা মায়া ভরা আমার গ্রামের পাহাড়ি করুণ পথে...
করোটির দ্বীপপূঞ্জে স্মৃতিরা খেলেছে আমাকে একাকী ক'রে
হে মানুষ একাকী থেকোনা এভাবে
এমন সবুজ করুন দ্বীপে
অনাত্মীয় করোনা আমাকে
মধ্যরাতের সুদীর্ঘ রাশি রাশি যন্ত্রণার দীর্ঘশ্বাস
অন্ধকার চেতনার মধ্যে অনুভব আমার আত্মাকে জুড়েছে
রাতের ভূখণ্ডের প্রাচীন শিকড়ে...
একাত্ম হয়েছি এই জন্মের মাটিতে
অনাত্মীয় করোনা আমাকে
বিগত জন্মের আকাঙ্খারা উচ্চ রবে ডাকে
আরো এক নতুন জন্মের জ্যোৎস্না রাতে
অনাত্মীয় করোনা আমাকে
রক্তের ছলাৎছল শব্দের ভিতর
এখনো আদিম আত্মীয়তা ভাসে
শতাব্দীর বহু ধ্বংসে এই জগতের বিব্রত মানুষ
বুঝেছে চলার পথ বিলিয়েছে প্রেম সঙ্গিনীর মতো
নিজস্ব নারীর ছায়ার ভেতরে দেখি
আমার ছায়াটি কাঁপে রোদ্দুরের সিথানে তোমার শরীরের ঘ্রাণে
যেখানে ধূসর বস্তুবিশ্বে সুদূরের আকাঙ্খারা
মানুষকে ডেকেছে নিজের কাছে…
জীবনের উষ্ণতার প্রবাহে—
তোমার চাহনির ব্যাপ্তিতে
পশ্চিম আকাশের সুদূরের কণ্ঠস্বর আমাকে জাগায়
অন্ধ রাত্রির অচেনা অরণ্যের কোনো এক প্রাচীন বৃক্ষের কাছে
ব্যক্তিগত দুঃখ গুলি ফেলে এসে ঘর বেঁধেছি
যেখানে জেগেছে নতুন চর আত্মার সবুজ দ্বীপে
আমার নাইবা হলো দূরের পৃথিবী দেখা
আমি অঘ্রান কন্যার হাত ধরে হেঁটে যাবো আলপথে
রক্তের ছলাৎ ছল শব্দের ভেতর
যেখানে আদিম আত্মীয়তা ভাসে
পোয়াতি ধানের গর্ভে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem