অন্ধকার ছুঁয়ে অনির্বাণ জ্বলেছে রক্তের নদী
স্মৃতিতে ব্যাথার অভিজ্ঞতা
পৌষ সন্ধ্যার আকাশ হতে নেমে আসে
যে জীবন—
অজস্র ধ্বংসের স্তূপে
ক্লান্তির আসন্ন বিপর্যয়ে
শ্মশানের গভীর আগুনে
রাত শেষের হওয়ার উপোসিপ্রান্তরে
চিরন্তন দিগন্তে নিজের প্রতিবিম্ব দেখে
আরো এক পৃথিবীর অস্তিত্ব খুঁজেছে
অগণন রাতের তারার নির্জন আঁধারে
চেতনার আকুল সে প্রাণ দেবদূতের
মরমী অশ্রুজলে জ্বলে ওঠে মানুষকে ভালবেসে
সে প্রাণ পুড়েছে বারবার
কবিতার কুমারী শব্দের কথার অন্তরে
হেঁটেছে অনেক অন্ধকারের বিরুদ্ধে অস্থির আগুনে
অনর্গল তমিশ্রার স্রোতে
শিকড়ের ধূসর মাটির ঘ্রাণে—
দোয়েল শালিখ কাকের জীবন যুক্ত হয়
সকালের রৌদ্রে
তপ্ত সূর্যের কণিকা পান করে
সেসব পাখিরা নিজ গন্ধে
মুগ্ধ প্রাণের একাকী খেলা
খেলে গেছে অবিরল
শূন্যে নরম চুম্বন রেখা এঁকে
নিজেকে রূপসী করে
স্নায়ু গ্রন্থির মেধাবী বন্ধনে নিঃশব্দে
দুঃখের উত্তাপে অনুভব করেছে নিজেকে
জেনেছি আমরা—
অতিব্যক্তিগত শোকে হলুদ বৃষ্টির আদিম অরণ্য
সৃষ্টির প্রসন্ন করতল ছুঁয়ে হাতের উপর হাত রেখে
মানুষকে ফিরিয়েছে বহুচেনা তাদের
গ্রামের মাটির প্রাচীর ঘেরা ঘরে
বহির্বিশ্বের সমুহ অন্ধকারের যন্ত্রণা
ঢেকে দেয় সৃষ্টির প্রচ্ছদ
মধ্যবয়েসের কাঙাল হৃদয়
শিকড়ে মাটির ঘ্রাণ খুঁজে
ভোরের রোদ্দুরে সূর্যের কণিকা পান করে
দোয়েল শালিখ কাকের জীবনে যুক্ত হয়
কবিতার রঙিন শব্দেরা কবির অস্তিত্ব ঘিরে
সারাটা জীবন সন্ধ্যার আকাশ হতে নেমে আসে
ধ্বংসের আসন্ন বিপর্যয়ে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem