নেমে এসেছিলে একদিন
দগ্ধ চেতনার অন্ধকারে
সেদিন একাকী সেই মৌন অন্ধকার
একে একে খুলে দিচ্ছিল নিদ্রিত ফুলের পাপড়ি
অনেক ক্লান্তির পর দূর
শূন্যের নক্ষত্র গুচ্ছের আকাশ ভেঙে
কবির ভেতর জন্ম নিচ্ছিল কবিতা
মানুষের উষ্ণ
আদিম আঘ্রানে
জ্যোৎস্নার ভেতর নীল নদের নিবিড়
তৃষ্ণার্ত সত্ত্বার সমুদ্র জীবনে জেগে
উঠছিল হৃদয়ের অজ্ঞাত স্বরূপ
প্রবল বৈভব পুড়ে তখন ফসল
ফলেছিল অস্তিত্বের উর্বর গহ্বরে
মনের দুরন্ত দুর্দিন বিদীর্ণ করে
আজো সেই নগরের বিধ্বস্ত প্রান্তরে
জেগে আছি জীবনের অতিপরিচিত মাটির চৌকাঠ ছুঁয়ে
এখন আঁধারে এক শীতল বিশ্বাস
আমাদের বয়ে নিয়ে যায়
জীবনের শান্ত
সবুজ অন্তরে
স্নায়ুর জটিল নক্সা যন্ত্রণার ভীষণ প্রাসাদ ফুঁড়ে আমাদের হৃদয়ের
বাতাসে নিজেকে
উৎকীর্ণ করেছে
বিচিত্র চিত্রিত রূপের আদিম সেই
কণ্ঠস্বরে অনুভব করেছি তোমাকে
নিঃসঙ্গ সূর্যাস্তে পাখিরা নিজের ঘরে ফিরে এলে
বিদগ্ধ শব্দেরা আমার ক্ষুধিত ভেতরে তোমার জন্ম দেয়
দুঃখিত পৌষের এই আঁধারে তোমাকে খুঁজেছি মিছিল নগরীর জনস্রোতে
নিজস্ব আকাশ ছিঁড়ে রক্ত মাখা সভ্যতার শেষ
রাত্রিতে তোমার অমৃত আঙ্গুল ছুয়েছি মহৎ বেদনার দিনে
তুমি এসো রাত্রি শেষ বিশ্বে গৃহস্থের গভীর রক্তাক্ত দিনে
নুড়ি পাথরের লাল রাস্তার গ্রামের
এই পথে পথে
ছড়িয়ে রইলো আমার নীরব প্রাণ
আগুনের স্রোতে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem