তুমি নদীর গুহ্যদ্বার দেখ, আমি চললাম
চলো এই বিষম বৈকল্য গরমে গিয়ে বসি
এক কমর শুরু নদীর পারে যেখানে জলোচ্ছ্বাস
গভীর অন্তরের এক অব্যক্ত অতি সূক্ষ্ম আবেগ
যেখানে আলোর রক্তে মিশে জল হয়েছে নীলাভ
এবং বোতল বন্ধ হৃদয়ের ছিপি খুলে গল্প করিঃ
আচ্ছা আমেরিকানরা আর তার সাথে সাথে কিছু
ইউরোপীয় যখন বলছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উপর
পূর্ণ অধিকার রয়েছে ইহুদীদের কারন তের শত
বছর পূর্বে তারা সেখানে বসবাস করত এবং
তাদের ধর্মগুরু সেখানে ধর্ম প্রচার শুরু করেছিলেন,
তাহলে কি আমেরিকা, ক্যানাডা বা নিউজিল্যান্ডের
ভূখণ্ড সাদা চামড়ার লোকেদের হয় কি করে, যেখানে
চোদ্দ শত আটানব্বই এর আগে কোন শ্বেত বর্ণের
লোকই ছিল না? সেই শ্বেত বর্ণের লোকেরা লুটবাজ
বলে অন্য লুটবাজ ইহুদীদের সমর্থন করে, ইউরোপীয়
জনগণ Red Indian দের উপর গণহত্যা চালিয়েছিল
বলেই কি আজ ফিলিস্তিনিদের উপর ইহুদীদের গণহত্যাকে
সমর্থন করে? এই অন্যায়কে রোদ করবার জন্য আমি
বাঙ্গালী হিসেবে কি করতে পারি? আমি কি আমার
জাতের নেতাদের বলতে পারি Burmese দের দ্বারা
রোহিঙ্গাদের হত্যা লীলা যে কোন মূল্যে বন্ধ করতে হবে?
না, আমার জাত এতোই জীর্ণ যে নিজের পায়ে নিজেই
দাড়াতে পারে না, সে কি ভাবে অন্যকে রক্ষা করবে?
আমরা কি শুধুই প্রেমের কবিতা লিখতেই থাকবো আর
এই পৃথিবীতে অন্যায় ভাবে রক্তপাত হতেই থাকবে? নাকি,
যে জাত নিজ নাবালকত্বে নিজেই দ্বি -খণ্ডিত সে কি ভাবে
পৃথিবীর অন্য জাতকে রাক্ষসের গ্রাস থেকে মুক্তি দেবে?
আমি কি কিছুই করতে পারবো না? আমারা কি এতোই
শীর্ণ? বীর্য বলতে কি আমদের কিছুই নাই? চিরকাল
কি এইভাবেই নরযজ্ঞ দেখতে থাকতে হবে? কিছু না
করতে পারার অপরাধে, অকর্মণ্য বোধের দুঃখে মনটা
বিষক্রান্ত হয়ে উঠল, চল এখান থেকে আর আলোচনা
করতে ভালো লাগছে না । পৃথিবীতে সত্য ও সুন্দর বলে
কিছু নেই, সবই প্রতারনা ও ভাওতা, জাতীর গর্বও মিথ্যা ।
প্রেমের কবিতা হাস্য কর এই ক্ষণে, মনুষ্যত্ব ডাস্টবিনের
জঞ্জাল মাত্র । তুমি নদীর গুহ্যদ্বার দেখ, আমি চললাম ।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem