ভালোবাসতে তোমাকে হবে না
শুধু একটু তাকালেই হবে।
আনমনে আড়চোখে, তৃষ্ণার্ত পৃথিবীর তৃষ্ণা নিয়ে
ফ্যালফ্যাল করে, একটু তাকালেই হবে।
ভালোবাসতে তোমাকে হবে না
শুধু একটু ছুঁয়ে দিলেই হবে।
তোমার ভিজে ভিজে, নরম গরম হাতে
আলতো আলতো করে ছুঁয়ে দিলেই হবে।
ভালোবাসতে তোমাকে হবে না
হেলেদুলে, একটু হেঁটে গেলেই হবে।
নিতম্বে নিতম্বে, উন্মাদ নদীর উন্মত্ত উচ্ছ্বাস তুলে
ঠুকেঠুকে, বুকে হাতুড়ি মেরে, একটু হেঁটে গেলেই হবে।
ভালোবাসতে তোমাকে হবে না
শুধু একটু জিজ্ঞেস করলেই হবে।
কিছু খেয়েছি কিনা, রাতে তোমাকে স্বপ্নে দেখেছি কিনা
বুকে চিনচিনে ব্যথাটা কমেছে কিনা- তা জিজ্ঞেস করলেই হবে।
ভালোবাসতে তোমাকে হবে না
মাঝে মাঝে, একটু মনে করলেই হবে।
কেমন আছি, কোথায় আছি; রাতে ঘুম হয়েছে কিনা
গালে হাত দিয়ে, একটু মনে করলেই হবে।
ভালোবাসতে তোমাকে হবে না
শুধু একটু ঘৃণা করলেই হবে।
তোমাকে দেখলে- কেন, কেন এতো পশু হয়ে যাই,
হিংস্র, নিষ্ঠুর নেকড়ের মতো, তোমার বুকে কেন ঝাঁপিয়ে পড়তে চাই
সে সব ভেবে, একটু ঘৃণা করলেই হবে।
ভালোবাসতে তোমাকে হবে না
কেবল একটু, ভালোবাসার ভান করলেই হবে।
রান্না করতে করতে, বুকে ঝাঁপিয়ে দাপিয়ে
তোমার নরম গরম ঠোঁটে, আমাকে ভেজালেই হবে।
ভালোবাসতে তোমাকে হবে না
তবে আনমনে, ঘটনাক্রমে একটু ভালোবাসলেই হবে।
পূর্ণিমা রাতে, হাতে হাত রেখে, হাসতে হাসতে একটু হাঁটলেই হবে।
অমাবস্যা রাতে, তোমার শাড়ীর আড়ালে, আমাকে ঢেকে রাখলেই হবে।
একাদশীতে, তোমার মধুর অমৃত দিয়ে, আমার অনশন ভাঙালেই হবে।
প্রতিপদে, তোমার নখের আঁচড়ে,
আমার বুকে, তোমার দুষ্টুমির গভীরতা এঁকে দিলেই হবে।
ষষ্ঠীতে, কাঁঠালের বদলে, তোমার হলদে বাগানটা শুঁকতে দিলেই হবে।
মাসের অন্যান্য দিনে, তোমার ঢালু উপত্যকায়
আনাড়ির মতো, আমাকে চড়ুইভাতি করতে দিলেই হবে।
মাইরি বলছি, ভালোবাসতে তোমাকে হবে না
কেবল তোমাকে দেখলেই, দুষ্টু- ভীষণই দুষ্টু-নচ্ছাড় হওয়ার
নিঃশর্ত অধিকার, আমাকে দিলেই হবে।
ভালোবাসতে তোমাকে হবে না গো
ভালোবাসতে তোমাকে হবে না।
তবে তোমাকে দেখলে, তোমার উন্মত্ত নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে
ডুব সাঁতার, চিৎ সাঁতার, প্রজাপতি সাঁতার- দিতে দিলেই হবে।
© অরুণ মাজী
Painting Eugene De Blaas
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem