ওরা নয়তো মানুষ, যায় না ওদের মানুষ বলা,
ওরা শুধু করতে জানে অন্যের সাথে ছলা কলা!
হাত-পা ওদের সবই আছে, নেইতো শুধু মন,
মানুষ, বলে ওদের কোন শালায়? দেখাও সেই জন!
কাচা মাংস চিবিয়ে খেতে নেইকো ওদের জুড়ি,
হাতের কাজটি হয়ে গেলে উড়ায় মনের ঘুড়ি!
নখ-দন্তহীন হিংস্র প্রাণী থাকে অন্ধকারে,
এদিক-ওদিক সুযোগ পেলেই আড়ে ছোবল মারে!
সেই পশুদের হয় অপমান বললে ওদের পশু;
মানব জন্ম ব্যৰ্থ ওদের, ওরা পশুর চেয়েও নিচু!
জাত ধর্ম নেইতো ওদের, না আছে কোন দেশ,
সারা পৃথিবী ছড়িয়ে আছে, রাখেনি অবশেষ!
নেইকো ওদের লাজ-লজ্জা, নেইকো মান সম্মান,
ধূলোয় তা গড়াগড়ি যাক তাতে কিসের ফরমান!
জেলের ভাত খেয়েও ওদের মেটে না মনের আশ,
বের হয়েও আবার তাদের মন করে হাসফাস!
মা-বোনেদের মান নিয়ে ওরা করে ছেলেখেলা,
মন তাদের হয় না বিষাদ, দেয় যে তাতে দোলা!
সংখ্যায় ওরা নয়তো বেশি, হাতে যাবে গুণা,
পয়সাতে তার হিসেব করলে হবে না এক আনা!
তবু আমরা ভয়ে থাকি মা-বোনেদের নিয়ে,
কখন, কোথায়, কি হয়ে যায় কোন দিক দিয়ে!
স্কুল কিংবা অফিসেতে যখন যেথায় যাই,
নরপশু সব জায়গাতেই খুঁজে পাওয়া যায়!
তাদের লোভেই নারীরা আজ হারাচ্ছে সম্ভ্রম,
জ্ঞান হারিয়ে জীবন পাপী, তাদের হচ্ছে মতিভ্রম!
নারীর কষ্টে উত্ফুল্লিত হয় যে তাদের মন,
সারা শরীর আঁচড়ে খাবে এই যেন তাদের পণ!
নারীর শরীর খাবলে খেয়ে হয় যে পুলকিত,
জীবন যুদ্ধে নারীরা তাই আজ হচ্ছে পরাজিত!
আমরা শুধু দেখে যাই রঙ্গ লীলার খেলা,
মাঠে-ঘাটে, চায়ের দোকানে বসাই রসের মেলা!
দেখে আমরা উহু-আহা করি সারাবেলা,
সেই দেখে নির্ভয়াদের কমে কি আর মনের জ্বালা!
আকুল হয়ে ব্যাকুল মনে চেয়ে থাকে উপর পানে,
কেউ যদিবা সাহস করে হাতটি ধরে তুলে টানে!
সাহস কি আর আছে মনে? আছে শুধু ভয়,
টানতে গেলে পেছন থেকে কি জানি কি হয়!
বকর বকর করতে জানি, কাজের নইকো আমরা,
করতে গেলে পেছন থেকে তুলে নেয় যদি চামড়া!
বনের বাঘে খায় না তো, মনের বাঘে খায়,
এ কারনেই জীবন নদী পেছন দিকে ধায়!
দিনে দিনে নির্ভয়াদের সংখ্যা যাচ্ছে বেড়ে,
মা-বোনেদের ইজ্জত নিয়ে, সাথে প্রাণও নিচ্ছে কেড়ে!
আর কতকাল নির্ভয়ারা থাকবে ঘরের কোণে,
নরপশুদের সেই কারণ সাহস বাড়ছে মনে!
জাগো নারী জাগো এবার শক্ত মুষ্টি হাতে,
দেখবে তখন নরপশুরা পালাবার পথ না পাবে!
সুমন সরকার
16.01.2017
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem