ছাই চাপা আগুনে জ্বলেছো সারারাত
রৌদ্রদগ্ধ মুখে লেগে আছে
দেশের বিষাদ
শতাব্দীর শেষের প্রহরে
অবচেতনের ভোর রাতে
আজো গত শতাব্দীর পর
ভোরের সূর্যের
দিকে চেয়ে থাকো!
বুকের ভেতর ছোট্ট পৃথিবী সবুজ
রোদ্দুর দেখেনি কোনদিন…
ধূ ধূ অন্তরালে
দু'বেলা দু'মুঠো
ভাত চেয়ে সে হাঁটে আদিম বনে নিজস্ব ছায়াকে
অতিক্রম করে
নিভৃতে যে প্রিয় মুখ গুলি
আনন্দে রোপন করেছিলে বুকে আজ
তারা অন্ধকার শালবনে
পাখির বিসন্ন কণ্ঠে বিরহের নীলগান শোনে
শুন্যতার দিকে দীর্ঘশ্বাস ফেলে তারা নির্বাসনে
কাটালো জীবন
প্রিয় কোনো স্বাদ নেই তার
অন্ধকার কুয়াশায় অবজ্ঞার চিহ্নে ছেয়ে গেছে
পাতা কুড়ানীর
নির্জন সেমুখ
মৃতেরা মিছিলে হেঁটে যায়
গণতন্ত্র নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে নিবিড় আঁধারে
বিবর্ণ শবের দেশে শুষ্ক পাতা কুড়ানো জীবন
নিজেকে জড়িয়ে ধরে লতার মতন…
শূন্যস্থানে ভাসে
হতাশার নির্জন সে মুখ
ছাই চাপা আগুনে জ্বলেছো
শতাব্দীর পর শতাব্দী, এখন যন্ত্রণার ছাঁচে
নিজেকে উজাড় করে কতকাল চেয়ে রইবে স্বর্গের দিকে …?
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem