সবুজ বাগানে স্বপ্নের চাষে মত্ত শৈশব
অথচ উলঙ্গ এঁড়ে গরু সেজে
ঢুকে পড়লো তাদের শিক্ষিত মূর্খ বাপ মা।
মাটিতে পা ঠুকে প্রত্যয় হাঁকলো
অর্জিত অন্ধত্বযুক্ত
সেই সব লাগামহীন এঁড়ে গরুর দল।
মিথ্যের অনাবৃত চামড়া দিয়ে তৈরী
খোল আর মাদোল বাজিয়ে
সুর করে বললো তারা
"বৃথা তোদের বাগান রে
বৃথা তোদের বাগান।"
মরণাপন্ন যে বুড়ো এঁড়ে গরু
একদিনও কোন বাগান গড়ে নি,
সেই
আকাশ সমান পান্ডিত্য নিয়ে
উদাত্ত কণ্ঠে বক্তৃতা করলো-
"কি করে জীবনের বাগান গড়তে হয়! "
মোড়ে মোড়ে বাজছে সানাই।
আজ কারও বাপের বিয়ে নয়-
রাজার পোষা ছারপোকার পৈতে উৎসব!
নতুন রামাবলী গায়ে
দেশের সব থেকে বড় ব্রাহ্মণ।
"ছারপোকার জাগরণ" কবিতা হাতে
দেশের সব থেকে বড় কবি।
ক্যামেরা মাইক হাতে
দেশের সব থেকে "হট" সাংবাদিক।
তেলের পুকুর সঙ্গে করে
হাজির দেশের বড় বড় তাঁবেদার।
কন্ঠে কণ্ঠে প্রতিযোগিতা
কে কতক্ষণ, কত জোরে গাইতে পারে
রাজার বাৎসল্যরসের জয়ধ্বনি।
এদিকে আমার পাড়ার বিন্দী মাগী
বাঁশের চোঙা দিয়ে
উনুনে ফুঁ দিতে দিতে
শ্বাস কষ্টে নীল হয়ে মৃত্যুর বুকে পড়লো।
মহানাগরিক নগেন মাস্টার এসেছিলো
বিন্দীর দ্বারে ভোট চাইতে।
বুড়ীকে চিৎ হয়ে উল্টে পড়ে থাকতে দেখে
নগেন মাস্টার হাঁকলো
"জয় সর্ব্বহারার জয়। জয় মা মাটি মানুষের জয়।"
ভ্যালেন্টাইন ডে'তে
একগুচ্ছ গোলাপ হাতে অপেক্ষারত তিন্নি।
অথচ নাগর তার এলো না।
ভীষণ অভিমানে সে লিখে ফেললো
নারীবাদী এক কবিতা!
ফাটা দেওয়ালের ফাটলকে
আলোর পথ ভেবে
দুরন্ত গতিতে ছুটছে জীবন।
অথচ কারও
একটুও হাঁফ নেওয়ার সময় নেই।
শোকে উন্মত্ত অনামিকা
বারবার ঘুড়িয়ে চলছে টেলিফোনের ডায়াল।
ছেলে এক্সিডেন্টে বেঁহুশ।
রাজদীপ টেলিফোন উঠিয়ে
কিছু না শুনেই বারবার বলে
"দেখছো না, ব্যস্ত আমি? "
ফোনটা পাঁচবার কেটে দিলো সে।
ফাটা দেওয়ালের ফাটলকে
আলোর পথ ভেবে
দুরন্ত গতিতে ছুটছে জীবন।
এদিকে উলঙ্গ উন্মাদ অরুণ মাজী
দিনরাত হেঁকে হেঁকে জিজ্ঞেস করছে মানুষকে
"কোথায় চলেছো হে মানুষ
কোথায় চলেছো তুমি? "
© অরুণ মাজী
Painting: Richard Johnson
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem