এইঘরে মা ছিলেন ঠাকুমা ছিলেন অনেক
জীবন ছিলো
ক্লান্তির ভাষার দেশে আজ মৃত্যুবোধ মিশে
গেছে রাত্রিগন্ধে
অশরীরী ঘাসবনে চিতার শুকনো
কাঠে বাঁশি বাজে অনন্তের মায়াবী বাতাসে
সফল যুদ্ধের পর রয়ে যায় আত্মলব্ধ স্পৃহা...
তারপর এই মহাজীবনের মোহ
একদিন নিঃশব্দে বিলীন হয় মাটিরৌদ্ররসে
নিজস্ব রাত্রির কথা গানে
অন্ধকার ঘর ঘিরে আকস্মিক বৃষ্টির সন্ধ্যায়
অনস্তিত্ব বেজে ওঠে নিজস্ব বিস্তারে
স্মৃতির দহন শিকড়ে সত্বার ঘ্রাণ প্রাণধ্বনির নির্বাক
কলোরোল ছড়ালো অন্তিম জন্মবায়ু প্রশ্নহীন মৃত্যু চিহ্নে
অবিরল হাহাকার ফুঁপিয়ে কেঁদেছে
সেইদিন পিতার নিঃসঙ্গ শান্ত প্রৌঢ় জীবনের
ধুলোমাখা সজ্জা আর্তি ছুঁয়ে
প্রতীক চিহ্নের মতো সে তো
আমার গভীরে রয়ে গিয়ে
একান্তে জ্যোৎস্নার বুক ভাঙে
আবহমানের হলুদ শ্মশানে চিতার কুয়াশা
গন্ধ মিশে যায় শীর্ণ নদীজলে শতাব্দীর স্রোতে
আবার বৃষ্টির বিকেল পাথর ভাঙে
আমরা জন্মের অভিমুখে ছুটে যায়
অন্তিম সঙ্গম নেমে আসে সেইখানে
পৃথিবীর ধূসর পাতার নির্জন শস্যের ক্ষেতে
শ্রাবণে কাঙ্খিত নদী তীরে
রূপকথা ফসলের ঘ্রাণ
বিদ্যুৎ চমকে বীজ বোনে
ব্যাথার জীবন ভেসে যায় যমুনার
যুবতী জলের কলস্বরে রাখালিয়া বাঁশি ছুঁয়ে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem