ব্যাথার পাথুরে মাটি নিয়ে
এখানে সুবর্ণরেখা ওড়ে
শেষ আলোটুকু ক্ষণে ক্ষণে
ছুঁয়েছে নিথর দুঃখজল
পৃথিবীর দীর্ঘতম রোদ শুষে অস্পষ্ট জীবন
উৎকীর্ণ হয়েছে নিঃস্ব আকাশ অবধি
অবিরল মহুয়ার গন্ধে বনপলাশের আদিম যুদ্ধের
প্রতিধ্বনি ভেসেছিল অন্ত্রনাড়ির বিদ্যুৎ ভাঙা দেহগর্ভে
আজ দূর শূন্যে স্বপ্ন ভাঙে
শুকনো শিমুল আঁকাবাঁকা কুলতল কঠিন প্রান্তরে কাঁপে
কে আছো আমার কাছে এসো
অস্থির হাওয়াই উড়ে গেছে
করুণ ঈশ্বর
দিগ্বিদিক দানবিক আগুন ঝলসে দিয়েছে শস্যের ক্ষেত
সন্ধ্যাকাশে বুনোফুল কাঁদে
জরায়ুর ম্লান বীজে বংশ নষ্ট হয়
লেনিনের বিশ্বাসের বিপরীতে হেঁটে
কে আছো প্রকৃত কমরেড
বাঁচাও আমাকে
এমন দুর্দিনে
মরমী বিশ্বাসে আমি সেই বিদুষক খুঁজি যার
দ্বিধাহীন দৃপ্ত পদক্ষেপ- বুটের চূড়ান্ত শব্দ
পাখির উৎসাহ এনে দেবে শান্ত ঘরে
কমিউন ভেঙে ভেঙে অনেক দালান
গড়েছে আমার রক্তমাংসে
কে আছো প্রকৃত কমরেড এসো আজ
আমার মায়ের কাঁকনে ঝংকৃত হোক
তোমার বিশ্বাস
বহুদিন রান্নাঘরে ফুটন্ত ভাতের শব্দ শুনিনি আমরা
গুপ্ত বিষে হত্যা করে কমরেডের মুখোশ পরা বহু মুখ
সেই মুখ আমি ঘৃণা করি
বুলেট ও বিস্ফোরক নিয়ে তুমি এসো
আসমুদ্র হিমাচল আমি সঙ্গে আছি
এসো কমরেড এসো, ব্যাথার পাথুরে মাটি বুকে
বহু দুঃখজল জমে আছে
কুয়াশার ঘন বনে সৌম্যমুখ গুলি
তোমার বুটের শব্দ খোঁজে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem