মানুষের অকৃতজ্ঞ হাতেই তবে কি
ছিলো ক্ষয়বীজ
শ্মশানের দাহদণ্ড নেভেনি এখনো
মরাক্ষরা রক্তগন্ধ মুখ
প্রতিধাপে হয়ে গেলো অচ্ছুৎ মানুষ
শৈশবে যে হাত বিলিয়েছে স্নেহতাপ
সে আজ কেবল তীব্র ত্রাস
ধর্মধ্বজাদণ্ড
ভেক বেশে শ্মশানের দাহদন্ডে স্বাধীন রাষ্ট্রের
দেবতাকে মুখোমুখি করোনা বিষাদ
নিঃশব্দে পোড়ায়
শব্দ নেই শুধু বহুবিষ পান করে বসে আছে সক্রেটিস ছায়াটুকু
তোমাকে পোড়াবে বলে নদীর কিনারে আজ অরণিমন্থন
গাঢ় ছায়া নেমে এলো বড়ো দুঃসময়
কঠিন পুরুষ বৃক্ষ পুড়ে যায় মূর্খ রাজার ঘুমন্ত দেশে
পথ চলে অগণন স্ফীত পৃথিবীর বনপাড়ের কঙ্কাল
কে যে কার খুলি নিয়ে খেলে
জনমানুষের রৌদ্রবাষ্পে
সেইদিকে চেয়ে আছে ত্রস্ত শিশু চোখ
শতখাতে বয়ে যায় নির্বর্ণ জীবন স্রোত শূন্য নদীচরে
মুখ ঢেকে চলে যাচ্ছি তদন্ত বিহীন
সেঁজুতির আলো নিভে গেছে
পড়ে আছে ধূ ধূ পোড়া মাঠ
শকুনের ছায়া কিলবিল করে ঘুমের ভেতর
শ্মশানের দাহদন্ড নেভেনি এখনো
আদ্র আঁধারে শুয়েছে শিশু আর বৃদ্ধ
মাঠের পশ্চিমে তাদের ফেরানো মুখ
রক্তগন্ধময়
ভূচিত্রে হার্মাদ পা রেখেছে
উৎসাহী বাসনা রাজ কাজের ডুবন্ত অন্ধকারে রয়ে গেল
তবে কি গোপনে গোপনে অস্তের ভেতরে জাগ্রত মানুষের ভূল ছিল
মানুষের অকৃতজ্ঞ হাতেই তবে কি
ছিলো ক্ষয়বীজ
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem