দুঃখ সুখের দোলায় দোলে
জীবনতরী চলে।
আপন পরের হিসেব কষো
খোদা কি তাই বলে?
মাটির ঘরে পিতামহের
কাটতো সময় বেশ।
হাসি খুশির জীবন ছিল
অপার অনিমেষ।
কপট মনের অভাব ছিল
মন ছিল তাঁর সাদা।
চোর ডাকাতের ভয় ছিলনা
জীর্ন গৃহে বাস।
আত্মভোলা মানুষ তাঁরা
মানবপ্রেমে ছিলেন সেরা।
নিজের আগে পরকে ভাবেন
দীনবন্ধু স্বর্গ দিবেন।
বাবার সময় আসলো যবে
তাঁজা বিচার শুরু।
মাটির ঘর ভেঙে সেথা
পাঁকা দালান উঠে।
আপন ঘরে তালিম তখন
ভালোবাসায় পুর্ণ জীবন।
প্রাপ্তিসুখে ভরা ছিল
বাবার গরীবখানা।
কম বেতনে চাকুরী তবে
খোদায় ভরসা।
দুনিয়া ছেড়ে কতো জ্বলদি তাঁরা
হলেন রওয়ানা।
নিজের সময় আসলে পরে
নিজকে নিয়ে রইনু পড়ে।
সম্পদের মায়াজালে
বন্দী মোরা যে যার তালে।
পরস্পরের অচিন সবাই
বাঁকা পথে ভীড় করে যাই।
অনেক জমি অনেক টাকা
তবু জীবন পুরোই ফাঁকা।
হে অনাগত মানব, না আসা জীবন
অফুরান সুখ তোমাদের হোক।
আগামী সুন্দর পৃথিবীর বুকে
মসৃন পথ তোমাদের হোক।
কাঁটাভরা যে পথ মাড়িয়েছি মোরা
সে বন্ধুর পথ হোক অজানা।
মানবের তরে মানবজীবন
তোমরা সকলে করিও গঠন।
.................................................
৩/৫/২০২০
বড়লেখা
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem