অন্তরে জলন্ত লাভা ঢেলে আছি,
ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে অনবরত।
তবুও চোখে গোমতীর কোনো ধারা বইছে না,
বাহির পানে বিজয়াদশমী পালিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
জলন্ত আঁখিতেও ভেজানো স্বপ্ন দেখা যাচ্ছে।
এ ভেজা স্বপ্ন না পারছি শুকাতে না পারছি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে শেষ করতে।
সবই নাট্যমঞ্চস্হ করছি।
গোলকধাঁধায় পরে আছে মন, দেহ আর ভঙ্গিমা।
কখনো মানবতা রক্ষা, আবার কখনো সরীসৃপ হয়ে সমতল দেওয়ালের উপরে উঠে দাঁড়িয়ে পরা।
কস্মিনকালেও মুক্তিযুদ্ধের পথ খোলা নেই।
সবইতো কল্পনা প্রসুত,
পাল হীন নৌকা নিয়ে নদীতেদাঁড়িয়ে আমি।
কখন যে সমাপ্ত সঙ্গীতের সূচনা হবে তাও জানিনা।
কখনো ভাবি এই বুঝি কুপোকাৎ হয়ে পরলাম।
ভয়ের রাজ্যে এখনো নিজেকে মানিয়ে নিতেও পারিনি ।
যদিও কখনো ভয় পেরিয়ে আসি,
সামনে এগোতেই কত শত ক্যাকটাস,
পিছনে ফিরলেই ব্যর্থতা আর সফলতার ছাপ।
আবার মনে পরে যায় ছোট্টবেলায় লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা "মহারক্ষক আরিয়ান"-এর কথা।
আরিয়ানের মতো আমিও পথ সন্ধানী হয়ে আছি।
তফাৎ একটাই তারঁ উদ্দেশ্য পৃথিবী আর আমার জীবন।
এর মাঝে আবার নাটক চালিয়ে যাওয়া!
তবুও ধরে রাখতে হয় নাট্যমঞ্চ।
বুঝে-অবুঝে নাটক এখনআমার পেশা হয়ে গেছে।
বড্ড এক গোলযোগের মধ্যে পরে আছি আমি।
এই গোলকধাঁধা থেকে বেরোনোর সাধ্যি হয়তো করোর হয়ে উঠেনা।
মনে হয় শত আরিয়ন আসলেও বোধহয় বেরোনোর পথ পাবেনা।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem